শিরোনাম

South east bank ad

বগুড়ায় ১১ দিন পর কবর থেকে নারীর মরদেহ উদ্ধার

 প্রকাশ: ২৯ অগাস্ট ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

প্রদীপ মোহন্ত, (বগুড়া) :

বগুড়ার গাবতলী উপজেলায় দাফনের ১১ দিন পর ফাইমা আক্তার (২৭) নামে এক নারীর মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় তার মরদেহ ময়নাতদন্ত জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়।

উপজেলার জানপাড়া গ্রামে তার শ্বশুর বাড়ির পারিবারিক কবরস্থান থেকে তার লাশ তোলা হয়েছে। এর আগে ফাহিমার মৃত্যুকে পরিকল্পিত হত্যা দাবি করে গত ১৮ আগস্ট আদালতে হত্যা মামলা করা হয়। মামলাটি করেন ফাহিমার ভাই রিমন। এতে ফাহিমার স্বামী সাইদুল ইসলাম, তার শ্বশুর-শাশুড়িসহ সাতজনকে অভিযুক্ত করা হয়।

ফাহিমা বগুড়া সোনাতলা উপজেলার সজনাতাউর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। তার বাবার নাম ফারুক হোসেন। ফাইমার স্বামী সাইদুল গাবতলী উপজেলার জানপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তার (সাইদুল) বাবার নাম ওসমান আলী।

জানা গেছে, প্রেমের সম্পর্ক থেকে পারিবারিক সম্মতিতে ২০০৩ সালে ফাহিমা ও সাইদুলের বিয়ে হয়। তাদের ঘরে এক মেয়ে সন্তানের জন্ম হয়। বর্তমানে ওই মেয়েটির বয়স পাঁচ বছর। গত ১৬ আগস্ট ফাহিমা হঠাৎ করেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। একই দিন সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়। পরের দিন ১৭ আগস্ট পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করে শ্বশুর বাড়ির লোকজন। তবে ফাহিমার মৃত্যুকে পরিকল্পিত হত্যা বলে দাবি করে আদালতে হত্যা মামলা করা হয়।

ফাহিমার চাচা আব্দুল হাই বলেন, ‘ফাহিমাকে পরিকল্পিতভাবে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন হত্যা করেছে। আমি এই হত্যাকান্ডের বিচার চাই। ফাহিমার মৃত্যুর আগে স্বামীর সঙ্গে তার পারিবারিক কলহ চলছিল।’

কবর থেকে লাশ উত্তোলনের সময় সহকারী কমিশনার ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফ আফজাল রাজন, এএসপি রাজিউর রহমান, গাবতলী মডেল থানার ওসি জিয়া লতিফুল ইসলাম ও দক্ষিণপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

গাবতলী মডেল থানার ওসি জিয়া লতিফুল ইসলাম বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ মামলায় কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি, তদন্ত চলছে।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: