শিরোনাম

South east bank ad

শেরপুর জেলা হাসপাতালের লিফট বিকলে সিড়িতেই বাচ্চা প্রসব

 প্রকাশ: ২৮ অগাস্ট ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

সাঈদ আহম্মেদ সাবাব, (শেরপুর) :

শেরপুর জেলা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের ৮ মাস থেকে নতুন ভবনের নানা সুযোগ সুবিধার মধ্যে অন্যতম ছিল লিফট। সাধারণ সিড়ির পাশাপাশি রোগী, নার্স ও চিকিৎসকদেও দ্রুততম সময়ের মধ্যে চলাচলের জন্য লিফটের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।

কিন্তু নতুন ভবনের দুটি লিফট চার দিন ধরে বিকল হয়ে পরে আছে। লিফট বিকল হওয়ায় ৯ তলা এ ভবনে উঠা-নামা করতে গিয়ে চরম বিড়ম্বনায় পড়ছেন হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা। এদিকে চিকিৎসক, নার্সরাও রয়েছে দুর্ভোগে।

৯তলা বিশিষ্ট এই হাসপাতালজুড়ে রয়েছে করোনা ইউনিট, জরুরি ভর্তি রোগীর শয্যা, ডাক্তার চেম্বার, অপারেশন থিয়েটারসহ অতি প্রয়োজনীয় সেবা দানের বিভিন্ন বিভাগ।

এ বছরের ৭ জানুয়ারি লিফট ও ওই হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু হয়। সর্বশেষ ২৪ আগস্ট থেকে লিফট দুটি বিকল হয়ে আছে। এতে সবচেয়ে ভোগান্তিতে পড়েছে করোনা আক্রান্ত, প্রসূতি নারী, শিশু ও বৃদ্ধরা।

এদিকে আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এক প্রসূতি মাতা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে লিফট না পেয়ে সিড়ি ভেঙ্গে পাঁচ তলা গাইনি ওয়ার্ডে যাওয়ার সময় প্রথম তলার সিঁড়িতেই বাচ্চা প্রসব হয়ে গেছে। হাসপাতালের লিফট না থাকায় ওই প্রসূতির স্বজন ও সেবা নিতে আসা মানুষজন ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

রাবেয়া বেগম নামে আরেক রোগীর স্বজন বলেন, আমি মহিলা মানুষ। পাঁচ তলায় আমায় নাতি ভর্তি। বাপুরে অতো উপরে সিড়ি বাইয়ে উঠা খুব মুশকিল। আর পারতেছিনা। আমি হাই পেশারের রোগী। সেখানে উঠানামা করতে গেলে আমার জান বের হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়ে যায়।

রিপন মিয়া বলেন, এত বড় হাসপাতালে শুধুমাত্র দুইটি লিফট দেওয়া ঠিক হয়নি। যন্ত্র নষ্ট হতেই পারে। এতো প্রয়োজনীয় একটি জিনিস ঠিক করতে ১০/১৫ ঘন্টা সময়ের বেশী লাগাটা দুঃখজনক।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন নার্স বলেন, ৮ তলার হাসপাতালে সিড়ি বেয়ে উঠতে খুবই ভোগান্তির ব্যপার। সুস্থ মানুষের পক্ষেই এত উপরে উঠানামা করা দুরুহ আর রোগীর জন্য কতটা কষ্টসাধ্য।

সদর হাসপাতালের আবাসিক ডাক্তার আরএমও খায়রুল কবির সুমন জানিয়েছেন, ৮ম তলায় কাজ চলছে। সেখান দিয়ে বৃষ্টির পানি পড়ে চারদিন যাবৎ লিফট নষ্ট। ঠিক করতে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ আনোয়ারুর রউফ বলেন, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে লিফট দুটি বন্ধ রয়েছে। লিফট চালু করতে ইতিমধ্যে জেলার গণপূর্ত বিভাগকে অবগত করা হয়েছে। গণপূর্ত ব্যবস্থা নিচ্ছে।

এ বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষ শেরপুর গণপূর্তের নির্বার্হী প্রকৌশলী জিল্লুর রহমান জানান, লিফটে পানি ঢুকলে লিফট নষ্ঠ হওয়ার সম্ভবনা থাকতে পারে বলে তার (গণপূর্ত) এক কর্মকর্তা নির্বার্হী প্রকৌশলীকে অবগত করেছিলেন। স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে অবগত করা হয়েছে দ্রুতব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান তিনি।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: