শিরোনাম

South east bank ad

চালু হয়নি মাঝিকান্দি-শিমুলিয়া নৌরুটে ফেরি পারাপার

 প্রকাশ: ২৮ অগাস্ট ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

মোঃ রোমান আকন্দ, (শরীয়তপুর) :

শরীয়তপুরের জাজিরার মঙ্গলমাঝিঘাটে ফেরিঘাট নির্মাণের কাজ শেষ হলেও শুক্রবার থেকে চালু হয়নি মঙ্গলমাঝি ফেরিঘাটটি। পদ্মা সেতুর পিলারে পরপর চার বার ফেরির ধাক্কার পর সেতু এলাকা এড়ানোর জন্য বাংলাবাজার ঘাটকে মঙ্গলমাঝির ঘাট ফেরি চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। তবে নাব্যতা সংকটের কারণে আপাতত ঘাটটি চালু করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান তারা । এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিআইডব্লিউটি এর উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. হারিস আহামদ পাটোয়ারী। বৃহস্পতিবার জাজিরা-শিমুলিয়া ফেরিঘাটে পরীক্ষামূলক ভাবে ফেরি চলাচলের কথা জানিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে শুক্রবার থেকে ফেরি চলাচল শুরুর কথা বলেছিল তারা।


বিআইডব্লিউটিএ সূত্র জানিয়েছে, বুধবার ৩৭ থেকে ৩৯ নম্বর পিলার এলাকার চ্যানেলে পানির গভীরতা ছিল ১২ ফুট। বৃহস্পতিবার গভীরতা পাওয়া গেছে ৬ ফুট। সংস্থার হাইড্রোগ্রাফি বিভাগ নিয়মিত পানির গভীরতা পর্যবেক্ষণ করছে। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের কথা রয়েছে। ওই বৈঠকে ঘাটে ফেরি পরিচালনার বিষয়ে পর্যালোচনা করা হবে। বুধবার রাতে বিআইডব্লিউটি এর সহকারী প্রকৌশলী মো. ফয়সাল জানিয়েছিল মঙ্গলমাঝির ঘাটটি দ্রুত সময়ের মধ্যে চালুর নির্দেশনা রয়েছে।

বৃহস্পতিবার পরীক্ষামূলকভাবে ফেরি চালানো হয়েছে। শুক্রবার ঘাট থেকে ফেরি চলাচল শুরু করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ চালিয়েছিলেন তারা।হঠাৎ করে পানির গভীরতা কমে গেল এটা অন্যকিছু নয়তো ? বলে মনে করছেন অভিজ্ঞ মহল। কেননা এ ঘটটিতো এক সময় মঙ্গলমাঝির ঘাটেই ছিল। সবকিছু প্রস্তত করা পরে কেন নদীর গভীরতা কমে গেল।তাহলে প্রভাবশালীদের টানা হেচড়ার মধ্যে পরেনিতো আবার। সবকিছুর উর্দ্ধে হলো পদ্মাসেতু রক্ষা করা।

শরীয়তপুরবাসিসহ দক্ষিনাঞ্চলের মানুষের প্রানের দাবী সেতু টিকলে ২১ জেলার মানুষের ভাগ্যের চাকা ঘুরবে। এটা যেন প্রধানমন্ত্রী সুনজর রাখেন। গত ১৮ আগস্ট থেকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথ বন্ধ থাকায় এই পথের যাত্রীরা পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া  আলুর বাজার ফেরীঘাট পথ ব্যবহার করছেন। বাড়তি চাপে সেখানে তৈরি হচ্ছে যানবাহনের দীর্ঘ সারি। ফেরি পারের জন্য ঘাটে অনেক সময় ধরে অপেক্ষা করতে হচ্ছে যাত্রীদের।

এখন পর্যন্ত পদ্মা সেতুর পিলারে চারবার ফেরির ধাক্কা লেগেছে। ২৩ জুলাই নির্মাণাধীন সেতুটির ১৭ নম্বর পিলারের সঙ্গে শাহজালাল নামের একটি রো রো ফেরির ধাক্কা লাগে। এতে ফেরির অন্তত ২০ যাত্রী আহত হন। এরপর ৯ আগস্ট বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর নামের আরেকটি রো রো ফেরি ১০ নম্বর পিলারে ধাক্কা দেয়। ১০ নম্বর পিলারেই ১৩ আগস্ট কাকলি নামের একটি ফেরি ধাক্কা দেয়। এরপর ফেরিঘাট সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।


বিআইডবিøউটিএ উপসহকারী প্রকৌশলী মো. হারিস আহামদ পাটোয়ারী বলেন, বিআইডবিøইটিএর উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের নির্দেশে ফেরিঘাট নির্মাণের কাজ শেষ রড। নদীতে নাব্যতা  সংকট ও রাস্তা প্রশস্ত না থাকায় চালু হচ্ছে না ঘাটটি। সমস্যা সমাধান করে ফেরি চলাচল শুরু হবে। তবে ফেরি চালুর ব্যাপারে বিআইডবিøউটিসি বলতে পারবে। আমাদের ঘাট প্রস্তÍত করার কাজ করে দিয়েছি।


কাঠালবাড়ি ফেরিঘাটের বিআইডবিøউটিসি’র ম্যানেজার মোঃ সালাহ উদ্দিন বলেন, মঙ্গলমাঝি ঘাটে ফেরী চালুর ব্যাপারে আমাদের কাছে কোন নির্দেশনা আসেনি। কবে চালু হবে বা হবে কিনা জানিনা।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: