চিকিৎসকের অভাবে দুই বছর ধরে বন্ধ সিজার কার্যক্রম
কায়সার সামির, (মুন্সিগঞ্জ) :
ঐতিহ্যের জনপদ মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গত দুই বছর ধরে ‘আ্যানেস্থেশিয়া’র চিকিৎসক না থাকায় বন্ধ রয়েছে সিজার কার্যক্রমর। এতে দূর-দূরান্ত থেকে আসা গ্রামের নিম্ন আয়ের পরিবারের গর্ভবতী মায়েদের ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। পাশাপাশি শ্রেফ অব্যবহৃত পড়ে থাকার কারণে দামী যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
জন যায়, উপজেলায় ৪ লাখ লোকের স্বাস্থ্যসেবার জন্য একমাত্র নির্ভরযোগ্য সরকারি হাসপাতাল হলো ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। গত ২০১৯ সালের শেষের দিকে আ্যানেস্থেশিয়া’র চিকিৎসক অন্যত্র বদলি হয়ে যায়। তার পর থেকে কোনো চিকিৎসক হাসপাতালে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। এখানে গর্ভবতী মায়েদের অপারেশনের (সিজার) জন্য একটি অত্যাধুুনিক অপারেশন থিয়েটার থাকলেও প্রায় দুই বছর ধরে ‘আ্যানেস্থেশিয়া’র চিকিৎসক না থাকায় অপারেশনও বন্ধ রয়েছে। ফলে উপজেলার ইউনিয়নগুলি থেকে আগত গর্ভবতী মায়েদেরকে মোটা অংকের টাকা খরচ করে স্থানীয় প্রাইভেট ক্লিনিকে বাধ্য হয়ে ভর্তি হতে হচ্ছে। এতে করে সাধারণ খেটে খাওয়া পরিবারের গর্ভবতী মহিলারা চরম বিপাকে পড়ছেন।
এ ব্যাপারে সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আঞ্জুমান আরা'র কাছে জানতে চাইলে সে বলেন, আমাদের এখানে আ্যানেস্থেশিয়া এর যে চিকিৎসক ছিলেন, সে ২০১৯ সালের শেষের দিকে বদলি হয়ে যায়। তার পর থেকে প্রায় ২ বছর ধরে কোন সিজার বা অপারেশন করতে পারছি না।
তিনি আরো জানান, আ্যানেস্থেশিয়া চিকিৎসক দেয়ার জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানানো হয়েছে। তারা খুব শীঘ্রই এই পদে চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন।