শিরোনাম

South east bank ad

মালচিং পদ্ধতিতে কৃষকের মুখে হাসি

 প্রকাশ: ২৫ অগাস্ট ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

সুনান বিন মাহাবুব, (পটুয়াখালী) :

‘মালচিং পদ্ধতি’ ব্যবহার করে বছরজুড়ে তরমুজ উৎপাদনে অসাধারণ সাফল্য দেখিয়েছে পটুয়াখালীর কৃষকরা। দীর্ঘ ৬ বছর গবেষনার পর প্রথমবারের মতো দেশে উদ্ভাবিত দুই জাতের তরমুজের বীজ রোপন করে সফলতা পেয়েছে তারা। এই মৌসুমে মালচিং পদ্ধতিতে তরমুজের বাম্পার ফলনে হাসি ফুটেছে তাদের মুখে। উৎপাদন খরচের তুলনায় তিনগুন লাভবান হওয়ায় নতুন করে তরমুজ চাষ শুরু করেছেন এসকল সমন্বিত কৃষকরা।

সাধারণত আমাদের দেশে তরমুজের ফলন বছরে একবার হয়ে থাকে। কিন্তু পটুয়াখালীর কৃষকরা বাস্তবে দেখিয়েছেন বছরের যেকোনও সময় একাধিকবার তরমুজ উৎপাদন করা যায়। দেশীয় বীজ দিয়ে বছরে তিনবার তরমুজের আবাদ করেছে উপকুলীয় এসব কৃষক। এতে বারো মাস তরমুজ বাজারে সরবরাহ করা যাবে। বর্তমানে উপকুলীয় কৃষকদের সফলতায় নিজস্ব জাতের লাল ও হলুদ তরমুজ চাষে আশপাশের উপজেলার কৃষকেরাও বারি-১ ও বারি-২ জাতের তরমুজ চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। জোয়ার ভাটা প্রবন দক্ষিনাঞ্চলের পতিত জমিতে উদ্যানতাত্বিক ফসলের উপযোগীতা যাচাই পূর্বক উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি কর্মসূচির আওয়াতায় আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষনা কেন্দ্র পটুয়াখালীতে কৃষকদের প্রশিক্ষনের মাধ্যমে মালচিং পদ্ধতিতে চাষাবাদ পদ্ধতি শিখানো হয়েছিল।

স্থানীয় কৃষক ও উদ্যানতত্ত্ব গবেষনা কেন্দ্র পটুয়াখালী সূত্রে জানা যায়, অন্যান্য সময় তরমুজের বীজ সরাসরি জমিতে লাগানো হয়। কিন্তু মালচিং পদ্ধতিতে মালচিং পেপারে মুড়িয়ে অঙ্কুরিত বীজ জমিতে রোপন করা হয়। মালচিং কাগজ হলো একধরনের কাগজ যার এক পাশে কালো ও অন্য পাশে রুপালি রং করা থাকে। এ পদ্ধতিতে মালচিং পলিথিন দিয়ে একটি বীজতলা নির্মাণ করা হয়। এ কারণে মাটিতে পানির পরিমাণ কম লাগে। অন্যদিকে মাটি ঢেকে থাকায় আগাছা হয় না। এরপর তরমুজের বীজ সেখানে স্থাপন করা হয়। মালচিং পেপার ছিদ্র করে বীজ অঙ্কুরিত হওয়ার পর তা মাচায় প্রতিস্থাপন করা হয়।

কৃষক ওমর ফারুক জানান, তিনি অনলাইনে ১৫০-২০০ টাকা দরে বারি-১ এবং বারি-২ তরমুজ বিক্রি করেছেন। এছাড়াও পাইকারি ৮০-১০০ টাকা মূল্যে স্থাণীয় বাজারে তরমুজ বিক্রি করেছেন। কয়েক শতাংশ জমিতে মালচিং তরমুজ চাষে তার অন্যান্য সময়ের তুলনায় বেশি লাভ হয়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা সোহেল রানা বলেন, এ পদ্ধতির পানি কম লাগে। পোকামাকড়ের উপদ্রব কম এবং আগাছা হয় না। প্রচলিত পদ্ধতিতে জমিতে ৫/৬ বার সেচ দিতে হয়, সেখানে এ পদ্ধতিতে মাত্র দুবার সেচ দিলেই যথেষ্ট। বাংলাদেশের অন্যান্য জায়গায় মালচিং পদ্ধতিতে তরমুজ আবাদ হয়েছে এবং পটুয়াখালীতেও এ চাষে সফলতা পেয়েছে কৃষকেরা।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: