শিরোনাম

South east bank ad

চার বছরেও স্থানান্তরিত হয়নি নাইক্ষ্যংছড়িতে আশ্রিত রোহিঙ্গারা

 প্রকাশ: ২৪ অগাস্ট ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

সোহেল কান্তি নাথ, (বান্দরবান) :

বিগত ৪ বছরেও স্থানান্তর করা হয়নি বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের কোনার পাড়া এলাকায় আশ্রিত রোহিঙ্গারা। যার ফলে তারা ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য চোরা চালানের সাথে জড়িয়ে পড়েছে।

গত ২০১৭ সালের ২৫ আগষ্ট মিয়ানমারের আরাকান রাজ্য থেকে পালিয়ে এসে জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের বিভিন্ন পয়েন্টে আশ্রয় নেয় প্রায় লক্ষাধিক রোহিঙ্গা। সরকার পার্বত্য অঞ্চলে রোহিঙ্গা না রাখার সিদ্ধান্তে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের সীমান্ত গুলো থেকে আশ্রিত ৫০ হাজার রোহিঙ্গাকে উখিয়া কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্থানান্তর করলেও নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তের নোম্যান্স ল্যান্ডে আশ্রিত ৫ হাজার রোহিঙ্গা শরনার্থী এখনো অবস্থান করছে।

দীর্ঘদিন অবস্থান করায় এসব রোহিঙ্গারা স্থানীয়দের সাথে মিশে গিয়ে দেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন আত্বীয়-স্বজনের বাসায় আশ্রয় নিয়ে অবৈধ পন্থায় স্থায়ী হচ্ছেন। এদের অনেকে আবার জড়িয়ে পড়ছে মাদক চোরা কারবারী, গুম, খুনসহ বিভিন্ন অপকর্মে। গেল কয়েক মাসে ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদক পাচারকালে আটক হয়েছে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার কোনার পাড়ার প্রায় ১০-১৫ জন আশ্রিত রোহিঙ্গা।

স্থানীয়দের অভিযোগ নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার স্থানীয় মেম্বার চেয়ারম্যানদের সাথে আতাত করে জন্ম নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র বের করে পাসপোর্টের মাধ্যমে বিদেশেও পাড়ি জমিয়েছে অনেক রোহিঙ্গা শরণার্থী। অনেক আবার ঐ এলাকায় স্থায়ী বাসিন্দাও হয়ে গেছে। স্থায়ী হয়ে যাওয়ায় তাদের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে ঐ এলাকার প্রকৃত স্থায়ী বাসিন্দারা।

স্থানীয় বাসিন্দা ফখর উদ্দির ও নুর মোহাম্মদ জানান, তুমব্রু এলাকায় আশ্রিত রোহিঙ্গাদের কারণে আমরা স্থানীয়রা অসহায় হয়ে পড়েছি। তাদের কারণে আমরা কাজেকর্মে যেতে পারি না। আশ্রিত রোহিঙ্গারা প্রতিনিয়তই বিভিন্ন অপরাধ মূলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ছে। এমনকি তাদের সাথে মিশে আমাদের ছেলে-মেয়েরাও খারাপ কাজে লিপ্ত হয়ে যাচ্ছে। তাই কোনার পাড়ার আশ্রিত রোহিঙ্গাদের দ্রুত সরিয়ে নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবী জানাচ্ছি।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সাপমারা ঝিরি, ফুলতলি, আছাড়তলিসহ ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তের নোম্যান্স ল্যান্ড এখনো ৮ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা রয়েছে। এসব রোহিঙ্গারা বিভিন্ন মাদক চোরাচালানসহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ে এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা বিনষ্ট করেছে। এমনকি তাদের সাথে মিশে এলাকার স্থানীয় অনেকে লোক খারাপ হয়েছে যাচ্ছে। এদের কারণে স্থানীয় মানুষ কাজে কর্মে পাহাড়ে যেতে পারে না। তাদের এহেন কার্যকলাপ ও অত্যাচারে স্থানীয়রা অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। আশ্রিত রোহিঙ্গাদেরকে সরিয়ে নেয়ার জন্য আমি বিভিন্ন জায়গায় আবেদনও করেছি। কিন্তু তাদেরকে এখনো সরিয়ে নেয়া হয়নি। তাই তুমব্রু সীমান্তে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের দ্রুত সরিয়ে নেয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবী জানাচ্ছি।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: