বিয়েতে রাজি না হওয়ায় প্রেমিকের বাড়িতে বিষপান করে হাসপাতালে প্রেমিকা
শামসুল আলম স্বপন, (কুষ্টিয়া) :
সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুকের মাধ্যমে তাদের পরিচয়। একপর্যায়ে তাদের মাঝে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক । মাত্র দেড় মাসের প্রেমের সম্পর্কের জেরে হাতে মেহেদী লাগিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের জন্য অনশনে বসে তরুনী প্রেমিকা। কিন্তু প্রেমিক বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় প্রেমিকের বাড়িতে বিষপান করেন প্রেমিকা।
এমন ঘটনা রোববার (২২ আগষ্ট) বিকেলে কুষ্টিয়ার কুমারখালী পৌরসভার তেবাড়িয়া গ্রামে ঘটে। প্রেমিক শামীম আহমেদ নাভিন (২২) ওই এলাকার ব্যবসায়ী নাজমুলের ছেলে ও কুমারখালী সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক।
প্রেমিকা (১৮) রাজশাহী জেলার একটি কলেজের ছাত্রী। বর্তমানে সে কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
প্রেমিকা ও প্রেমিকের পরিবার সুত্রে জানা গেছে, গত ২০ আগষ্ট শুক্রবার দুপুরে ছাত্রদল নেতা শামীম আহমেদ নাভিনের বাড়িতে আসে ওই প্রেমিকা। প্রেমিক নাভিনের সাথে বিয়ে করার দাবি জানালে প্রেমিক তাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে। তখন প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে বসে কলেজ ছাত্রী প্রেমিকা। তার হাতে মেহেদী রাগানো ছিল । খবর পেয়ে কুমারখালী থানা পুলিশ শুক্রবার রাতে প্রেমিকাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে এবং পরিবারকে খবর দেয়।
এরপর ২১ আগষ্ট শনিবার সকালে কুমারখালী থানায় দুই পরিবারের বসাবসিতে সমঝতা হয় এবং প্রেমিকাকে নিয়ে যায় তাঁর পরিবার। পরদিন রোববার (২২ আগষ্ট) দুপুরে প্রেমিকা পুনরায় নাভিনের বাড়িতে চলে আসে এবং আবারো বিয়ের দাবিতে অনশন করে। এবার প্রেমিক নাভিনের পরিবার তাঁকে মেনে না নেওয়ায় বিকেলে সে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা চালাই।
প্রেমিকের বাবা নাজমুল কলেজ ছাত্রীকে উদ্ধার করে কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। কলেজ ছাত্রী প্রেমিকা হাসাপাতালের চিকিৎসাধীন অবস্থায় বলেন, দেড়মাস আগে ফেসবুকে তাঁদের পরিচয়। একপর্যায়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। নাভিন বিয়ের আশ্বাস দিয়ে চলে আসতে বলে। আমি নাভিনের বাসায় অবস্থান করলে তাঁরা আমাকে স্বীকৃতি না দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
পুলিশ জোর করে আমার পরিবারের কাছে তুলে দেয়। তিনি আরো বলেন, আমি রোববার আবার নাভিনের বাড়িতে বিয়ের জন্য অবস্থান করি। কিন্তু ওরা খারাপ আচরণ করায় বিষপান করেছি। পরে নাভিনের বাবা হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। এবিষয়ে নাভিনের বাবা নাজমুল বলেন, শুনেছি ফেসবুকে ছেলের সাথে পরিচয় হয় । ছেলে এখন বিয়েতে রাজি হচ্ছে না । আমি কি করবো বলেন ।
কুমারখালী থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক জসিম উদ্দিন বলেন, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে থানায় বসাবসি করে মেয়েকে তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পরে শুনেছি ওই মেয়ে পুনরায় প্রেমিকের বাড়িতে এসে বিষ পান করেছে । কিন্তু এ ব্যাপারে কোন অভিযোগ পায়নি । অবিযোগ পেলে আইনী ব্যবস্থা নিব।