South east bank ad

শরীয়তপুরে পদ্মায় আশঙ্কাজনক হারে পানি বৃদ্ধি

 প্রকাশ: ২৩ অগাস্ট ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

মোঃ রোমান আকন্দ (শরীয়তপুর প্রতিনিধি):

শরীয়তপুরের পদ্মা নদীতে আশঙ্কাজনক হারে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে নড়িয়া-জাজিরার পদ্মার ডান তীর রক্ষা প্রকল্পের ব্লক নির্মাণের ইয়ার্ডও প্লাবিত হয়েছে। নড়িয়ার ঈশ্বরকাঠি এলাকায়পদ্মা নদীর পানি বেড়েছে। এতে নড়িয়া-জাজিরা পদ্মা নদীর ডান তীর রক্ষা প্রকল্পের ব্লক নির্মাণের ইয়ার্ড প্লাবিত হয়েছে।
সোমবার (২৩ আগস্ট) সকাল ১০টায় সুরেশ্বর পয়েন্টে পদ্মার পানি ৪৭৭ সেন্টিমিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হয়েছে, যা বিপৎসীমার ৩২ সেন্টিমিটার ওপরে।
এদিকে, পানি বাড়ার কারণে নড়িয়ার ঈশ্বরকাঠি, শেহের আলী মাদবরকান্দি ও চেরাগ আলী ব্যাপারীকান্দি এলাকায় নদীর তীর উপচে পানি লোকালয়ে ঢুকছে। ওই তিন স্থানে নড়িয়া-জাজিরা পদ্মা নদীর ডান তীর রক্ষা প্রকল্পের ব্লক নির্মাণের ইয়ার্ড প্লাবিত হয়েছে। এ কারণে সেখানে কর্মরত তিন শতাধিক শ্রমিককে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড। তারা পানি বাড়ার কারণে ভাঙন ঠেকাতে পদ্মা, মেঘনা ও কীর্তিনাশা নদীর ১০০ স্থানে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে।

শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১৩ আগস্ট পদ্মা নদীর পানি নড়িয়ার সুরেশ্বর পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এরপর থেকে প্রতিদিনই পদ্মার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নড়িয়ার কিছু নিচু এলাকায় তীর উপচে লোকালয়ে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। পদ্মার পানি বাড়ায় নদীতে স্রোত বেড়েছে। স্রোতের কারণে জাজিরার পদ্মা নদীর তীরবর্তী বিভিন্ন এলাকায় ও কীর্তিনাশার বিভিন্ন স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙন রোধে জাজিরার ৩৭টি স্থানে, নড়িয়ার ১২টি স্থানে, ভেদরগঞ্জের ২২টি স্থানে, গোসাইরহাটের ১৪টি স্থানে ও সদর উপজেলার কীর্তিনাশা নদীর ১৫টি স্থানে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ও জিও টিউব ফেলা হচ্ছে। ওই স্থানগুলোয় জিও ব্যাগ ও জিও টিউব ফেলতে ৩১ কোটি ২৪ লাখ টাকা ব্যয় করা হয়েছে।
এদিকে, নড়িয়া-জাজিরার পদ্মা নদীর ডান তীর রক্ষা প্রকল্প নামক ১ হাজার ৪১৭ কোটি টাকার একটি প্রকল্প চলছে। ওই প্রকল্পে ব্যবহারের জন্য সিসি ব্লক নির্মাণ করা হচ্ছে নদীর তীরবর্তী ১০টি স্থানে। পদ্মায় পানি বৃদ্ধি পেয়ে ঈশ্বরকাঠি, শেহের আলী মাদবরকান্দি ও চেরাগ আলী ব্যাপারীকান্দি এলাকায় সিসি ব্লক নির্মাণের তিনটি ইয়ার্ড প্লাবিত হয়েছে। সাত দিন আগে ওই ইয়ার্ড তিনটি বন্ধ করে শ্রমিকদের অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের শরীয়তপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী এমএস আহসান হাবীব বলেন, পদ্মায় পানি বাড়ার কারণে কিছু নিচু স্থান তলিয়েছে। তবে এখনো লোকালয়ে পানি ঢোকেনি। নড়িয়া-জাজিরার পদ্মা নদীর ডান তীর রক্ষা প্রকল্পের ব্লক নির্মাণের তিনটি ইয়ার্ড পানিতে প্লাবিত হয়েছে। সেখান থেকে তিন শতাধিক শ্রমিককে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। পানি নেমে গেলে ইয়ার্ড তিনটি চালু করা হবে।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: