শেষ স্ল্যাব বসলো আজ, দৃশ্যমান হলো মূল সেতুর ৬.১৫ কিলোমিটার সড়কপথ
মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
শেষ হলো পদ্মা সেতুর রোডওয়ে স্ল্যাব বসানোর কাজ। এর ফলে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার সেতুতে পূর্ণাঙ্গ রূপ পেলো সড়কপথ। সোমবার (২৩ আগস্ট) সকাল দিকে সেতুল ১২ ও ১৩ নং পিলারের ওপরে শেষ স্ল্যাব বসানো হয়েছে। পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ১০ টা ১২ মিনিটের সময় সর্বশেষ স্ল্যাবটি বসানো হয়েছে। সেতুর কাজ আরও একধাপ এগিয়ে গেলো। এ ছাড়া পদ্মা সেতুর মাঝখান দিয়ে গ্যাসলাইন বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। একইসঙ্গে শেষ হতে চলছে রেললাইনের কাজও।
পদ্মা সেতুর কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের জুলাই মাস পর্যন্ত সেতু প্রকল্পের সার্বিক কাজ এগিয়েছে ৮৭ দশমিক ২৫ শতাংশ। আর মূল সেতুর কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৯৪ দশমিক ২৫ শতাংশ। অর্থাৎ মূল সেতুর কাজের আর বাকি মাত্র ৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
আর্থিক অগ্রগতি হয়েছে (ব্যয়) ৯০ দশমিক ১৮ শতাংশ। মূল সেতুর কাজের চুক্তি মূল্য প্রায় ১২ হাজার ৪৯৪ কোটি টাকা। চলতি বছরের ৩১ জুলাই পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে প্রায় ১১ হাজার ২৬৮ কোটি টাকা
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রকল্প পদ্মা সেতুর কাজ ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসে শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সেতুর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটির ওপর বসানো হয় প্রথম স্প্যান। এর মধ্যদিয়ে দৃশ্যমান হতে থাকে পদ্মা সেতু।
৪২টি পিলারের ওপর ১৫০ মিটার দৈঘ্যের ৪১টি স্প্যান একে একে বসানো হয়। সর্বশেষ স্প্যানটি বসানো হয় ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর। এতে ছয় দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু পুরোপুরি দৃশ্যমান হয়েছিল। ২০২২ সালের জুন মাসে পদ্মা সেতু যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার কথা রয়েছে। একই সঙ্গে চলতে থাকে রোডওয়ে, রেলওয়ে স্ল্যাব বসানোসহ অন্যান্য কাজ। ২০২২ সালের জুন মাসের মধ্যেই এই সেতুর যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার কথা রয়েছে।
সর্বশেষ সংশোধিত প্রকল্প প্রস্তাব অনুসারে, আগামী বছরের জুনের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা। এর পরও প্রকল্পের মেয়াদ এক বছর থাকবে। তবে সেই সময়টা সেতুর কোনো ত্রুটি দেখা দিলে তা মেরামত করা হবে। পদ্মা সেতু দ্বিতলবিশিষ্ট। এর ওপর দিয়ে চলাচল করবে যানবাহন, নিচ দিয়ে রেল। মূল সেতুর দৈর্ঘ্য ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার। সেতুটি চালু হলে দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলার সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হবে। দক্ষিণের মানুষ এখন সেতুটি চালুর অপেক্ষায়।