শিরোনাম

South east bank ad

নদী গর্ভে বিলীন হতে পারে বসতবাড়ি ফসলি জমি

 প্রকাশ: ২২ অগাস্ট ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

খন্দকার রবিউল ইসলাম, (রাজবাড়ী) :

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া ও জঙ্গল ইউনিয়নের ওপর দিয়ে প্রবাহিত গড়াই নদীর ভাঙন থেকে রক্ষা পেতে নদী পারের মানুষের আকুতি বেড়েই চলেছে। ইতিমধ্যে আবার দেখা দিয়েছে বন্যার আশংকা। বেড়িবাঁধ না থাকায় ফসলের মাঠে ধুকতে শুরু করেছে নদীর পানি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গত ২০ আগষ্ট থেকে নারুয়া ইউনিয়নের মরাবিলা গ্রামের উপর দিয়ে স্থানীয়দের চলাচলের বেড়িবাঁধ অনেক আগেই নদী গর্ভে বিলীন হওয়ায় ফসলের ক্ষেত পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে।

সেই সাথে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন। নদীর পারের পাকা ঘর গুলো রক্ষা করতে নিজেদের মধ্যে চেষ্টা চালাচ্ছে স্থানীয়রা।তারা ভাঙন রোধে পাটকাঠি, বাঁশ ও আবর্জনা নদীর কূল দিয়ে রেখেছে। আর ফসলি জমিতে যাতে পানি ঢুকতে না পারে সেজন্য তারা মাটি দিয়ে পানির গতিপথ রোধ করার ব্যর্থ শেষ চেষ্টা চালাচ্ছেন। কিছুক্ষণ পর পরই তারা নজরদারিতে রাখছেন।

এর আগে গত ৭/৮ বছর আগে পাকা সড়ক নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। তবে পাকা রাস্তা নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার পর থেকে প্রতি বছর পানি বৃদ্ধি ও কমার সময় তীব্র ভাঙন দেখা দেয়। ইতিমধ্যে কয়েক শত বিঘা ফসলি জমি নদীতে চলে গেছে।

বসত ভিটা ছাড়া হয়েছে প্রায় ২০ এর অধিক পরিবার। তবে তারা কিছু দূরে পুনরায় বাড়ি ঘর করে বসবাস করলেও এবার আবার তাদের নতুন বাড়ি ঘর ও নদী গর্ভে বিলীনের পথে। এখন শুরু স্থানীয়দের আত্ননাথ ও আহাজারি।

নদীর পারের বাসিন্দা বেলায়েত মন্ডল বলেন, কখন বুঝি নদীতে আমার দুই বছর আগে করা ঘর নদীতে চলে যায় এই ভয়ে রাতে ঘরে ঘুমাতে পারি না। এই ভাঙন এই প্রথম না, প্রতি বছর এভাবেই নদীতে চলে যায় আমাদের ঘর বাড়ি ও ফসলের জমি। এত কিছু হয়ে যাচ্ছে মরাবিলাতে কিন্তু নজর নাই সরকারের কেউ আসে না দেখতে আমাদের। এখন তাই এভাবেই বসে থাকি নদীর পারে কখন চলে যাবে শেষ সম্বল।

মরাবিলা গ্রামের বাসিন্দা চঞ্চল বিশ্বাস বলেন, প্রতি বছর এভাবেই ভাঙে। তবে কোন পদক্ষেপ নেই না পানি উন্নয়ন বোর্ডে। আর প্রতি বছর শুকনো মৌসুমে নদী ভাঙনের একটু দূর দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষথেকে আসে ফসলের ক্ষেত থেকে মাটি কেটে রাস্তা করতে। এবার তাও করা হয় নাই, যখন শুনছে চেয়ারম্যান পানি বাড়ছে নদীতে আর সেই এসে বলে মাটি কেটে বাধ দিয়ে দেই।এবার আমরা স্থানীয়রা আর সেটা করতে দেই নাই।

এ বিষয়ে নারুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুস সালাম (মাস্টার) বলেন, আমি বার বার পানি উন্নয়ন বোর্ডে কে উক্ত বিষয় অবহিত করেছি তারা কোন গুরুত্ব দেয় না। আমি আমার পরিষদ থেকে যতটুকু করা সম্ভব তা করে যাচ্ছি। এবছর নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে ফসলের ক্ষেত পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে, সেটা জেনেই আমি উক্ত স্থানে উপস্থিত হয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে যায়। তবে স্থানীয়রা বাধা দিলে আমি চলে আসছি।

রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী এম এ শামীম বলেন, আমি গত বছর এসেছি। আমি আপনাদের মাধ্যমে বিষয় টা জানতে পেরেছি। ওই স্থানে আমাদের অফিসের লোকজন নিয়মিত পরিদর্শন করছে। ইতিমধ্যে আমি ওই স্থানে একটি প্রকল্প চেয়ে আবেদন করেছি। বরাদ্দ পেলেই আশা করছি আগামী শুকনো মৌসুমে কাজ শুরু করতে পারবো।ওই কাজের পরিমাণ কি হবে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ৫০০ মিটারের কাজের আবেদন করা হয়েছে। ওই কাজে ভাঙন রোধে স্থায়ী সমাধান ও বেড়িবাঁধ নির্মান করা হবে।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: