শিরোনাম

South east bank ad

গফরগাঁওয়ে পাট চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকের

 প্রকাশ: ২০ অগাস্ট ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

এইচ কবীর টিটো, (গফরগাঁও) :

ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার কৃষকদের মাঝে পাট চাষের আগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে।বাংলাদেশের সোনালী আঁশ পাটে সুদিন ফিরতে শুরু করেছে। দেশে গত বছর সোনালী ফসল পাটের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকরাও আগ্রহী হয়ে উঠছে পাট চাষে। গত বছর মৌসুমের শেষের দিকে পাটের দাম দাঁড়িয়েছিল মন প্রতি ৬০০০ টাকায়।

জানা যায়, প্রকৃতি ও বাজার পাট চাষিদের অনুকূলে থাকায় উপজেলায় পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা প্রতি বছরই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ বছর আবাদকৃত পাট কৃষকরা ইতিমধ্যে ঘরে তুলতে শুরু করেছে। এবার পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে বলে জানিয়েছেন চাষিরা। উপজেলার প্রায় সব ইউনিয়নেই পাটের আবাদ হয়ে থাকে। গফরগাঁও উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় পাট চাষে জমি ও আবহাওয়া অনুকূল হওয়ায় এখানে পাটের আবাদ কিছুটা বেশি হয় থাকে। কৃষকরা বর্তমান পাটের বাজার দর অনুযায়ী উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে ভালো লাভ পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন। উপজেলা কৃষি অফিস ও পাট অফিস থেকে পাট বীজ সরবরাহ সহ বিভিন্নভাবে পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেছে কৃষকদের। ১ কেজি পাটবীজ দিয়ে ১ বিঘা চাষ করা যায়।

গত মার্চ মাসে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রনালয়ের উদ্যোগে উপজেলার ২৪০০ জন কৃষকের মাঝে উচ্চ ফলনশীল ১ কেজি তোষা পাটবীজ,৬ কেজি ইউরিয়া ও ৩ কেজি টিএসপি সার বিতরণ করা হয়। উপজেলা প্রশাসন ও পাট অধিদপ্তরের উদ্যোগে উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর পাট, পাটবীজ উৎপাদন এবং সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় ১০০ জন পাট চাষীকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।

চলতি মৌসুমে উপজেলায় ২ হাজার ৪০০ বিঘা জমিতে উচ্চ ফলনশীল পাট চাষের লক্ষ মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে প্রায় ৪০হাজার মন বা ৭ হাজার ২০০ মেট্টিক টন পাট উৎপাদন হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় পাট অফিস।

গফরগাঁও উপজেলার টাঙ্গাব ইউনিয়নের পাট চাষি গোলাপ মিয়া বলেন, প্রায় ১৬ কাঠা জমিতে পাট চাষ বাবদ বীজ, সার, কীটনাশক, পরিচর্যা ও আনুষাঙ্গিক খরচসহ রোদে শুকিয়ে তা ঘরে তোলা পর্যন্ত ১৬ থেকে ১৮ হাজার টাকার মতো খরচ হয়।তিনি শুধু পাট খড়ি বিক্রি করেছেন ৩০ হাজার টাকা।

চরআলগী ইউনিয়ন মোজার মোঃখলিল মিয়া ১৫কাঠা জমিতে পাট চাষে সব মিলিয়ে খরচ করেছেন ১৭ হাজার টাকা।বর্তমানে তিনি পাটখড়ি বিক্রি করেছেন ২৬ হাজার টাকা। এ বছর তারা দুই জাতের পাটের আবাদ করেছেন।

গফরগাঁও উপজেলা কৃষি অফিসার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, গতবছরের চেয়ে এবার গফরগাঁও উপজেলায় পাট চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমান বাজারদরে পাট চাষ করে কৃষকের লোকসান হওয়ার সম্ভাবনা নেইে।এ বছর পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: