মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্চিতের ঘটনায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
এস এম আরাফাত হাসান, (মাদারীপুর) :
মাদারীপুরের কালকিনিতে আবুল কাশেম নামে এক মুক্তিযোদ্ধাকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করা হয়। এর প্রতিবাদে টায়ার জ্বালিয়ে ঘন্টাব্যাপী ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিক্ষুদ্ধ জনতা।
এতে করে সকল যানচলাচল বন্ধ থাকায় প্রায় এক কিলোমিটার সড়কে যানজট সৃষ্টি হয়। পরে খবর পেয়ে থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্তনে আনেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী, সরেজমিন ও এলাকা সূত্রে জানা গেছে, ডাসার উপজেলার কাজীবাকাই এলাকার বীরমুক্তিযোদ্ধা ও ডাসার উপজেলা আ.লীগের যুগ্নআহ্বায়ক আবুল কাশেম ব্যাংকের কাজে কালকিনি উপজেলা সদরে যান। এসময় পূর্ব শত্রুতা ও শোক দিবসের পোস্টারে মাদারীপুর ৩ আসনের এমপি আব্দুস সোবাহান গোলাপের ছবি না দেয়ার জেরে হঠাৎ করে ৪-৫ জন দুর্বৃত্তরা মিলে বীরমুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেমকে এলোপাথরিভাবে কিল-ঘুষি দিয়ে তার গায়ে পরিহিত পাঞ্জাবি ছিরে ফেলেন।
এ খবর পেয়ে লাঞ্চিত ঘটনার প্রতিবাদে কাজী বাকাই এলাকার বিক্ষুদ্ধ জনতা ডাসারের বাশতলায় প্রথমে বিক্ষেভ মিছিল করেন। এ মিছিল শেষে পরে তারা পুনরায় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের বালীগ্রাম এলাকার পাথরিয়ারপাড় স্টান্ডে সড়ক অবরোধ রেখে টায়ার জ্বালিয়ে হামলাকারীদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন। পরে ডাসার থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
এব্যাপারে ডাসার উপজেলা আ.লীগের যুগ্ন আহ্বায়ক মতিন হাওলাদার,মহসিন শিকদার, কৃষকলীগের যুগ্ন আহ্বায়ক মোঃ হেমায়েত হোসেন ও কালুসহ বেশ কয়েকজন বলেন, বীরমুক্তিযোদ্ধা ও আ.লীগ নেতা আবুল কাশেমের উপর ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমুলক বিচার চাই। বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা সামনে আরো কঠোর কর্মসুচি পালন করবো।
ভুক্তভোগী বীরমুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম বলেন, কালকিনি উপজেলায় আমি গেলে বিনা অপরাধে উপজেলা তাঁতীলীগের সাধারন সম্পাদক রেজাউল ফরাজীর নেতৃত্বে দক্ষিণ রাজদী গ্রামের শাহ আলমসহ বেশে কয়েকজন মিলে মারধর করে আমার জামা-কাপড় ছিড়ে ফেলেছে। আমার অপরাধ কেন আমি এমপির ছবি পোস্টারে দেয়ান। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার দাবি জানাই।
অভিযোগের বিষয়ে কালকিনি উপজেলা তাঁতীলীগের সাধারন সম্পাদক রেজাউল ফরাজী বলেন, তাকে আমরা মারিনি। ঘটনার সময় আমি বাসায় ঘুমানো ছিলাম। আমার নামে কাশেম মিথ্যা কথা বলেছে।
এব্যাপারে সংসদ সদস্য আব্দুস সোবাহান গোলাপের সাথে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। তিনি বর্তমানে ঢাকায় রয়েছে।
এব্যাপারে ডাসার থানার ওসি হাসানুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এনেছি। আটকা পড়া সকল যানচলাচল স্বাভাবিক করে দিয়েছি।