শিরোনাম

South east bank ad

পাট সংগ্রহে ব্যস্ত আত্রাইয়ের চাষিরা

 প্রকাশ: ১৬ অগাস্ট ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

আব্দুল্লাহ হেল বাকী, (নওগাঁ) :

চলতি মৌসুমে নওগাঁর আত্রাই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পাট কাটা, জাগ দেওয়া ও পাটকাঠি থেকে পাট ছাড়ানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। অন্য বছরের তুলনায় এবার পাটের দাম বেশি হওয়ায় চাষিরাও খুশি।

উপজেলা বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সময় মত পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত হওয়ায় পাট কেটে তা বিভিন্ন জলাশয়ে জাগ দিচ্ছেন চাষিরা। পাট নদী, নালা, খাল, বিল ও ডোবায় জাগ দেওয়া, আঁশ ছাড়ানো এবং হাটে-বাজারে তা বিক্রিসহ সব মিলিয়ে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। আবার কোথাও কোথাও দেখা গেছে নারী-পুরুষের অংশগ্রহনে পাট থেকে আঁশ ছাড়ানোর কাজ চলছে। তবে অনেক স্থানে রিবোন রেটিং পদ্ধতিতে আঁশ ছাড়ানোর জন্য কৃষি বিভাগ চাষিদের উদ্বুদ্ধ করলেও চাষিরা তাতে আগ্রহী নয়।

আত্রাই উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবার উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি জমিতে পাট চাষ করা হয়েছে। চাষের শুরুতে বৃষ্টিপাত কম থাকায় অনেক স্থানে চাষ কিছুটা দেরিতে শুরু হলেও ফলন ভালো হয়েছে। ভালো ফলন পেয়ে চাষিরাও খুশি।

এ্রছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বর্তমানে ভালো মানের পাটের মূল্য তিন হাজার টাকা মণ ও নি¤œমানের পাটের মূল্য ২৮০০ টাকা মণ বিক্রি হচ্ছে। ফলে ন্যায্যমূল্য পেয়ে পাটচাষিদের মাঝে এখন পাট চাষে আগ্রহ বাড়ছে।

উপজেলার ভোঁপাড়া গ্রামের পাটচাষি মজিবর আলী জানান, নয় বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছিলাম, পাটও ভালো হয়েছে এবং অন্য বছরের তুলনায় দাম বেশি হওয়ায় লোকসানে পড়তে হচ্ছে না।

উপজেলার তারাটিয়া গ্রামের পাটচাষি আব্দুস ছামাদ জানান, মৌসুমের শুরুতে বৃষ্টি না হওয়ায় পাট নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলাম। তবে পরে বৃষ্টি হওয়ায় ফলনও ভালো হয়েছে। এবার আমি চার বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছিলাম। বাজারে পাটের মূল্য বেশি হওয়ার কারণে আগামী বছর আরও বেশি জমিতে পাট চাষ করব বলে ভাবছি।

এ বিষয়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কেরামত আলী জানান, এবার গত বছরের তুলনায় আমাদের এলাকায় পাটের আবাদ অনেক বেশি হয়েছে। আশা করছি, বাম্পার ফলন হবে। এলাকার কৃষকরা যাতে পাট যথাযথভাবে উৎপাদন করতে পারে এবং স্বল্প খরচে উচ্চ ফলনশীল পাট উৎপাদন করতে পারে এজন্য আমরা প্রতিনিয়ত কৃষকদের পরামর্শ দিয়েছি। বিভিন্ন রোগবালাই থেকে পাটকে মুক্ত রাখতেও পরিমিত ওষুধ প্রয়োগের পরামর্শ দিয়ে আসছি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কেএম কাউছার হোসেন জানান, গত বছরের চেয়ে এ বছরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি জমিতে পাট চাষ হয়েছে। পাটের ফলনও হয়েছে বাম্পার। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার পাটের দামও অনেক বেশি। পাটের নায্যমূল্য পেলে চাষিদের মাঝে পাট চাষে আগ্রহ বাড়বে বলে তিনি মনে করেন।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: