কোরআনের শপথ নিয়ে আত্মসমর্পণ করলো সুন্দরবনের ৯ হরিণ শিকারী
এস এম সামছর রহমান, (বাগেরহাট) :
বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনে অবৈধ ভাবে অনুপ্রবেশ করে হরিণ শিকারের সাথে জড়িত ৯ হরিণ শিকারী মুচলেকা দিয়ে পবিত্র আল কোরআন ছুয়ে শপথ করে আত্মসমর্পণ করেছে। সোমবার (১৬ আগষ্ট) সকালে সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তার কার্যালয়ে ৬বস্তা হরিণ শিকারের ফাঁসসহ এসব হরিণ শিকারী আত্মসমর্পণ করেন। এসময় হরিণ শিকারীরা তিনশো টাকার স্টাম্পে স্বাক্ষর করে ও পবিত্র আল কোরআন ছুয়ে সুন্দরবনে আর কখনও হরিণ শিকারের সাথে জড়িত হবে না মর্মে শপথ করেন।
আত্মসমর্পণকৃত শিকারীদের সবার বাড়ী বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার সুন্দরবন সংলগ্ন ‘সুন্দরবন ও চিলা ইউনিয়নে’র বাসিন্দা। তারা হলেন, মো. সাজ্জাক ব্যাপারি (২৫), এমদাদুল সরদার (২৮), মহিদুল শেখ (৩০), রেজাউল শেখ (৩৫), জাহাঙ্গীর মোল্লা (৩০), বাচ্চু মৌছাল্লি (৩৫), আতাউর খাঁন (৩৫), রুবেল শেখ (২৮) ও ফরিদ জোমাদ্দার (৩৮)।
সুন্দরবনের হরিণ শিকারীরা আত্মসমর্পণের সময় সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের স্টেশন কর্মকর্তা মো. ওবায়দুর রহমান, চাঁদপাই রেঞ্জের সহ-ব্যবস্থাপনা সংগঠন সিএমসির বর্তমান আহবায়ক ও চিলা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ শফিকুল ইসলাম রাসেল, ইউপি সদস্য অলিয়ার রহমান সরদারসহ বনরক্ষীরা উপস্থিত ছিলেন।
সুন্দরবন চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) এনামুল হক বলেন, ৬ বস্তা হরিণ শিকারের ফাঁদসহ ৯ হরিণ শিকারী আত্মসমর্পণ করেছে। এসময় তারা স্টাম্পে স্বাক্ষর করে মুচলেকা দেয়ার পাশাপাশি পবিত্র আল কোরআন ছুয়ে সুন্দরবনে আর কখনও হরিণ শিকারের সাথে জড়িত হবে না মর্মে শপথ করে আত্মসমর্পণ করেন। পরে বনবিভাগ তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে তাদের ছেড়ে দেয়। এছাড়া এদিন দুপুরে আত্মসমর্পণ করার সময় জমা দেয়া ৬ বস্তা হরিণ শিকারের ফাঁদ পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে।
আর আগে প্রায় তিনমাস আগে সুন্দরবন সংলগ্ন উপকূলীয় এলাকার ১৮ জন হরিণ শিকারী বন বিভাগের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ বন বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন।