সুস্থতার হার স্বস্তি ফেরাচ্ছে মানুষদের মাঝে
এম.এম.জাহিদ হাসান হৃদয়, (আনোয়ারা) :
আঁধার ফেরিয়ে সূর্যের আলো নিয়ে আলোকিত হয় পুরো বিশ্ব। তাই সারা পৃথিবী যখন করোনা ভয়ে ভীতু ঠিক তখনই সুস্থতার হার যেন আশা ফিরিয়ে আনছে সবার মনে। দেশে যেমন বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ঠিক তেমনি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন অনেকেই। দেশের অন্যান্য জেলা-উপজেলার মতো করোনার অন্যতম হটস্পট হয়ে পড়েছে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা। তবুও এরই মধ্যে করোনা রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার পরিসংখ্যানটা মনোবল বাড়াচ্ছে সকলের মাঝে।
কোভিড-১৯ আক্রান্তদের মধ্যে বেশিরভাগই ঘরে থেকে চিকিৎসা গ্রহণের মাধ্যমে সুস্থ হয়ে উঠছেন। এ সময় ঘরে আইসোলেশনে থাকার মাধ্যমে সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যাও অনেক।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তথ্য মতে ১৭জুন ২০২০ থেকে শুরু হওয়া বাংলাদেশের করোনা আক্রমণে আনোয়ারা উপজেলায় ৪হাজার ৮শ ১৩ জনের নমুনা পরীক্ষার মধ্যে ১হাজার ১শ ৫২জনের করোনার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। কিন্তু এরই মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন ৫শ ৩০জন। যা মোট আক্রান্তের প্রায় অর্ধেক।
সর্বশেষ ১১আগষ্ট ৬৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২৪ জনের দেহে করোনার বিষ পাওয়া যায়। বর্তমানে করোনা পজিটিভ হয়ে আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১২জন করোনা রোগী। বাকিরা নিজ ঘরে হোম কোয়ান্টানে রয়েছে বলে জানা যায়।
নিজেরা একটু সচেতন হয়ে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করলে এই ভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে বলে মনে করেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা।
করোনা জয় করে কাজে ফিরছেন রবিউল ইসলাম নামের এমন একজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, গতমাসের ২৬ তারিখ তাঁর করোনা টেস্টের রিপোর্ট পজেটিভ আসে । তার শরীরে তেমন লক্ষণ দেখা না দিলোও দূর্বলতা কাজ করছিলো। বাড়িতে থেকে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন ও শরীর চর্চা করেছে। শরীর আগের থেকে এখন সুস্থ আছেন । আজ থেকে কাজে ফিরছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবু জাহিদ মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন বলেন, যারা করোনার সামান্য কয়েকটি উপসর্গে অসুস্থতা বোধ করছেন; তারা চাইলেই ঘরে থেকে বিশ্রাম নেওয়া ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার মাধ্যমে কোভিড-১৯ থেকে সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন। আক্রান্তদের মধ্যে ফ্লু বা সাধারণ জ্বর, সর্দি-কাশি, গলা ব্যথার লক্ষণই বেশি প্রকাশ পায়। এসব লক্ষণ প্রকাশ পাওয়ার পর কেউ যদি কোভিড-১৯ টেস্টে পজেটিভ হন; তাহলে ওষুধ এবং ঘরোয়া উপায়েই প্রতিকার মিলবে।বায়ু চলাচল করে এমন একটি ঘরে আলাদা থাকুন এ সময়। নিজেদের চারপাশ সবসময় স্যানিটাইজ করুন। অন্যের সংস্পর্শে আসা এড়িয়ে চলুন। সবসময় মাস্ক ব্যবহার করবেন। নিজের কাপড়, বাসন বা ব্যবহৃত জিনিসপত্র আলাদা করে রাখবেন। কিছুক্ষণ পরপর ২০ সেকেন্ডের জন্য সাবান পানিতে হাত ধুতে হবে।