হাঁস উপহার নিয়ে বাড়ী ফিরছেন প্রধানমন্ত্রীর সেই মেহমানরা
মো: আব্দুস ছাত্তার, (ফুলবাড়িয়া) :
ছিল না কোন জমি এবং মাথা গোজার ঠাঁই, তাদেরকে সরকার প্রধান ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জমি সহ ঘর দেওয়ার প্রকল্প হাতে নিয়ে দুর্দান্ত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে অনেক প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে, সুবিধাভোগিরা বসবাস করছেন রঙিন ঘরে। কবুলিয়াতনামা দলিলসহ পেয়েছেন পাকাবাড়ি। রঙিন টিনের সারি সারি ঘর যেন এলাকায় ভিন্নতা এনে দিয়েছে। থাকার কোন টেনশন এখন তাদের নেই, ঘুমাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বাড়ীতে। সেই হিসাবে তারা শেখ হাসিনার মেহমান। উপর মহলের নির্দেশনা মোতাবেক ঐ সকল মেহমানদের জীবনমান উন্নয়ন করতে সরকারী আমলারা পরিকল্পনা করেই চলেছেন।
ধারাবাহিকতায় ময়মনসিংহ জেলার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আয়শা হক স্থানীয় ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ ফুলবাড়িয়া এপি কে আয়বর্ধনমুলক কর্মসূচির পরামর্শ প্রদান করেন। সেই আলোকে ফুলবাড়িয়া এপি’র ম্যানেজার জেমস বিশ^াস একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। পরিকল্পনাতে অনুমোদন দেয় ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার (১২আগস্ট) সকাল ১১টায় বাক্তা কালনাজানি গ্রামে ৩টি ইউনিয়নের ৮০জন পরিবারে ১০টি করে খাকি ক্যাম্বেল হাঁস তুলে দেওয়া হয় তাদের হাতে। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের প্রতিনিধি, প্রাণি সম্পদ অফিসের প্রতিনিধি, ইউপি চেয়ারম্যানের প্রতিনিধি, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ ফুলবাড়িয়া এপি’র ম্যানেজার জেমস বিশ^াস, গ্রাম উন্নয়ন কমিটির নেতৃবৃন্দ। হাঁস নিতে এসে সুবিধাভোগিরা জানিয়েছেন, এমন উদ্যোগ প্রশংসার দাবী রাখে। আমরা এর সর্বোচ্চ ব্যবহার করার চেষ্টা করবো।
ফুলবাড়িয়া এপি ম্যানেজার জেমন বিশ^াস জানান, এডিএম ও ইউএনও স্যারের পরামর্শক্রমে একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন করে গরিব মানুষের পাশের্^ দাড়াতে পেরে স্বস্তিবোধ মনে করছি। তবে আমাদের বাজেট সীমিত বিধায়, তা না হলে এর চেয়ে ভালো কিছু করা যেত। তবে সুবিধাভোগিদের এইটুকুতেই অনেক খুশি মনে হয়েছে। তাদেরকে আমরা খাকি ক্যাম্বল জাতের ১০টি করে হাঁস ৮০জন পরিবার কে দিয়েছি। সবগুলো হাঁস ভেকসিন করা। প্রতিটি হাঁস ২৮০টাকা ব্যয়ে ৮শ হাঁস প্রদান করা হয়েছে। আমাদের কৃষি বিভাগ সার্বক্ষনিক হাঁস মালিকদের মাধ্যমে খোঁজ খবর রাখবেন। তাদের বলা হয়েছে, এ হাঁস জবেহ (কলাকাটা) করা যাবে না, এ থেকে ডিম ও বাচ্চা ফোঁটানোর আয় তারা সংসারে খরচ করবে। ডিম একদিকে যেমন পুষ্টির চাহিদা পূরণ করবে অন্যদিকে আর্থিকভাবে লাভবান করতে সহযোগিতা করবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল ছিদ্দিক বলেন, সরকারী নানা প্রকল্পে আশ্রায়ন প্রকল্পে বসবাসকারীরা অগ্রাধিকার পাবে। তারা এগিয়ে আসলে ভাল কিছু করা সম্ভব। অসহায় মানুষদের আয়বর্ধক কর্মসূচী গ্রহণ করায় ফুলবাড়িয়া এপিকে ধন্যবাদ।
ময়মনসিংহের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) আয়েশা হক বলেন, ফুলবাড়িয়ায় যে সব লোকজন ঘর দেওয়া হয়েছে, সত্যিকার অর্থেই তারা খুব অসহায়। তাদের পাশের্^ দাঁড়ানোর জন্য ওয়ার্ল্ড ভিশনকে অনুরোধ করার সাথে সাথেই তারা অসহায় মানুষের পাশের্^ দাঁড়িয়েছেন সাধ্যমত, তাদেরকে ধন্যবাদ। এ ছাড়াও জেলা প্রশাসক মহোদয়ের একটি পরিকল্পনা আছে, অসহায় সকলকে কর্মসংস্থান করে সামলম্বি করে তোলার।