জলাবদ্ধতা নিরসনে মোবাইল কোর্টে অর্থদন্ড
এইচ এম জোবায়ের হোসাইন
ফসলী জমিতে জলাবদ্ধতা নিরসন, কৃষকের ফসল রক্ষা, বসতবাড়িকে জলমগ্নতা থেকে রক্ষা, অপরিকল্পিতভাবে জমির শ্রেণী পরিবর্তনের মাধ্যমে পুকুর তৈরী এবং এর ফলে জলাবদ্ধতা প্রতিরোধে ত্রিশাল উপজেলায় ১০ আগষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসার ত্রিশাল ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ তরিকুল ইসলাম এর নেতৃত্বে চকরামপুর নামক স্থানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয় মৃত হাজী নজরুল ইসলামের পূত্র মোঃ শরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে কতিপয় ব্যক্তি অপরিকল্পিতভাবে পুকুর খননের মাধ্যমে পানি চলাচলের কালভার্ট বন্ধ করে প্রায় ৩০ একর জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করেছেন। বৃষ্টির পানি প্রবাহিত হবার প্রাকৃতিক রাস্তা বন্ধ হবার ফলে আশেপাশের বাড়িঘরও জলমগ্ন হয়ে পড়ে। ভুক্তভোগী জনসাধারণ দীর্ঘদিন ধরে ফসল ফলাতে পারছেন না। অভিযুক্ত মোঃ শরিফুল ইসলামকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়। তিনি তার অপরাধ স্বীকার করেন এবং জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবেন বলে অঙ্গীকার করেন।
আসামীর দোষ স্বীকারোক্তির উপর ভিত্তি করে তাকে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ তরিকুল ইসলাম এর মোবাইল কোর্টে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১২ এর অধীনে ৫০ হাজার টাকা অর্থদ- অনাদায়ে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদ- প্রদান করা হয়। অর্থদ-ের টাকা তাৎক্ষণিক আদায় করা হয়।
ঘটনাস্থলে উপজেলা পরিষদ ত্রিশালের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন সরকার ও এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন। অভিযানে ত্রিশাল থানা পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা সহায়তা প্রদান করে। জলাবদ্ধতা নিরসনে মোবাইল কোর্ট অব্যাহত থাকবে বলে জানান ইউএনও।