শিরোনাম

South east bank ad

মজুত না থাকায় রাজশাহীতে টিকাদান কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা

 প্রকাশ: ১০ অগাস্ট ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

আমজাদ হোসেন শিমুল, (রাজশাহী ব্যুরো) :

রাজশাহী মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ডের ৮৪টি কেন্দ্রে ৬ দিনে দেড় লাখ মানুষকে গণটিকাদানের ঘোষণা দিয়েছিল সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু টিকা মজুদ না থাকায় দুই দিনে (৭ ও ৮ আগস্ট) এসব কেন্দ্রে ৭৮ হাজার ৮৭৩ জনকে টিকা প্রদান করেই ওয়ার্ড পর্যায়ে করোনার গণটিকা প্রদান কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। এবার আগে থেকেই মহানগরীতে চালু থাকা চারটি কেন্দ্রেও মজুদ শেষ হয়ে যাওয়ায় টিকাদান কার্যক্রম (প্রথম ডোজ) মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) থেকে স্থগিত করা হয়েছে। হঠাৎ কেন্দ্র চারটিতে টিকাদান কার্যক্রম স্থগিত করায় যারা টিকা নিতে গিয়েও পাননি তাদের অনেককেই ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে। তবে কর্তৃকপ্ক্ষ বলছে- টিকা পাওয়া সাপেক্ষে দ্রুত আবারও এই কেন্দ্র চারটিতে টিকাদান কর্মসূচি শুরু করা হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে- রাজশাহী মহানগরীতে মর্ডানার টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর থেকে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত মোট ৮২ হাজার ৮০০ জনকে টিকা প্রদান করা হয়েছে। তবে ওয়ার্ড পর্যায়ে গণটিকা কার্যক্রম হঠাৎ বন্ধের ঘোষণার পর আগে থেকেই চালু থাকা চারটি কেন্দ্রে (নগরীর টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, সংক্রামক ব্যধি হাসপাতাল, পুলিশ হাসপাতাল ও সিএমএইচ) এসএমএস দেখিয়ে টিকা নেবার যে আশা ছিলো সেটিও মঙ্গলবার থেকে আপাতত স্থগিত করেছে কর্তৃপক্ষ। মজুদের টিকা শেষ হয়ে যাওয়ায় টিকা কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে বলে জানান তারা।

তবে হঠাৎ করেই টিকার মজুদ শেষ হয়ে যাওয়ায় এই চারটি কেন্দ্রে টিকা গ্রহণ করতে আসা সাধারণ মানুষকে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে। গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে নগরীর টিচার্স ট্রেনিং কলেজ সেন্টারে টিকা প্রদান বন্ধ করে দেয়া হয়। এর আগে সকাল ৯টায় এই কেন্দ্রে টিকাপ্রদান শুরু হয়েছিল। তার আগে থেকেই শত শত মানুষ টিকা গ্রহণের জন্য লাইনে দঁড়িয়েছিলেন। দীর্ঘ অপেক্ষার পর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে টিকার মজুদ শেষ হয়ে যাওয়ার ঘোষণা শুনে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা লোকজন।

এই কেন্দ্রে করোনার টিকা নিতে আসা আতাউরর রহমান নামের এক ব্যক্তি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘সকাল সাড়ে ৮টায় লাইনে দাঁড়িয়েছি। দীর্ঘ ৩ ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে যখন ধৈর্য্যরে বাধ চরমে ঠিক তখন হ্যান্ড মাইকে ঘোষণা আসলো, টিকার মজুদ শেষ। টিকা না আসা পর্যন্ত আর টিকা প্রদান করা সম্ভব হবে না বলে জানানো হয়। করোনা মহামারীর মধ্যে ঠাসাঠাসি করে ৩ ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে টিকা না নিয়েই আমাকে বাড়িতে ফিরতে হচ্ছে।’

রোজিনা নামের একজন টিকাকার্ড ও এসএমএস দেখিয়ে বলেন, ‘এই কেন্দ্রে টিকা গ্রহণের জন্য আজকের তারিখে এসএমএস এসেছিল। ফলে আমি টিকা নিতে এসেছিলাম। কিন্তু মজুদ শেষ হয়ে যাওয়ায় টিকা না নিয়েই ফিরে যাচ্ছি। এর মাধ্যমে কর্তৃপক্ষ চরম অব্যবস্থপনার পরিচয় দিলো।’

শুধু টিচার্স ট্রেনিং কলেজ কেন্দ্রেই নয়; বাকি তিনটি কেন্দ্রেও একই পরিস্থিতি হয়েছে। অথচ গত রবিবার (০৮ আগস্ট) যখন ৩০টি ওয়ার্ডে টিকাদান কর্মসূচি স্থগিতের প্রেস রিলিজ সিটি কর্পোরেশন থেকে পাঠানো হয়েছিল সেখানে উল্লেখ ছিল- সোমবার (৯ আগস্ট) থেকে সরকার নির্ধারিত ৪টি কেন্দ্রে টিকাদান কমসূচি অব্যাহত থাকবে। যারা টিকা নিতে এসএমএস পাবেন, শুধুমাত্র তাদেরকেই টিকা প্রদান করা হবে।

রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডা. কাইয়ুম তালুকদার বলেন, ‘মডার্নার টিকার মজুদ শেষ হয়ে যাওয়ার কারণেই টিকার প্রথম ডোজ যারা নিচ্ছিলেন সেটি আপতত স্থগিত করা হয়েছে। তবে যারা অ্যাসট্রোজেনেকা ও সিনোফার্মার দ্বিতীয় ডোজ নিতে মনোনীত হয়েছেন তারা টিকা পাচ্ছেন।’ তিনি আরও বলেন, ১৫ আগস্টের মধ্যেই মর্ডানার টিকা প্রাপ্তি সাপেক্ষে আবারও দ্বিতীয় ডোজ টিকা কার্যক্রম দ্রুততম সময়ের মধ্যেই শুরু হবে।’

রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এফএমএ আঞ্জুমান আরা বেগম বলেন, টিকার মজুদ না থাকায় রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন এলাকায় করোনার টিকা প্রদান কার্যক্রম আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। টিকা প্রাপ্তি সাপেক্ষে পরবর্তীতে টিকাদানের নতুন তারিখ ঘোষণা করা হবে।’

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: