পিতাকে নির্দোষ দাবী করে পুত্রের সংবাদ সম্মেলন
জাহিদুল ইসলাম খান, (ভালুকা) :
গত ১৪ জুলাই২১ইং জসিম পাঠান ও তার সহযোগীরা পূর্বপরিকল্পিত ভাবে কুপিয়ে আর্টি ডাইং মিলের এমডি আব্দুর রাজ্জাক এর দুই পা দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলার ঘটনায় পরের দিন ১৫ জুলাই বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলন করেন আব্দুর রাজ্জাক এর ছেলে ও আর্টি মিলের ডিএমডি তৌফিকুর রাজ্জাক।
সম্মেলনে তিনি বলেন, ধোপাজান খালটি উদ্ধারের আবেদনই কাল হলো আমার বাবা আব্দুর রাজ্জাক এর। গতকাল ৮ আগস্ট রবিবার সকাল ১১টায় উপজেলার কাঠালীস্থ আর্টি কম্পোজিট মিলের হল রুমে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে তৌফিক রাজ্জাক বলেন, ২৬৭ নং দাগে অবস্থিত ধোপাজান খালটি জসিম পাঠান অবৈধ ভাবে দখল করে ফেলেন, ফলে উজানের পানিসহ আমাদের মিলের বর্জ্য ও পানি নিষ্কাশনে চরম প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছিল। আমার বাবা একাধিকবার সরকারী ধোপাজান খালটি ও আমাদের কতক জমির অবৈধ দখল ছেড়ে দিতে বলায় জসিম পাঠানের সাথে আব্দুর রাজ্জাক সাহেব এর বিরোধের সৃষ্টি হয়।
তৌফিক রাজ্জাক বলেন, জসিম পাঠানের অবৈধ দখলে থাকা কাঠালী মৌজার ২৬৭ নং দাগে অবস্থিত সরকারী ধোপাজান খালটি উদ্ধারের জন্য ২৪-১১-২০১৯ইং স্থানীয় বাসিন্দা মজিব হোসেন ও বিল্লাল হোসেন গংরা ভালুকা সহকারী কমিশনার ভূমি বরাবর একটি আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে খালটি চিহ্নিত করবার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত সার্ভেয়ার সেলিম হাসান ও সার্ভেয়ার রফিকুল ইসলাম ভালুকা সহকারী কমিশনার ভূমি বরাবর দুটি প্রতিবেদনে স্পষ্ট উল্লেখ্য করেন সরকারী ধোপাজান খালটি জসিম পাঠান অবৈধভাবে দখল করে আছেন।
এছাড়াও জসিম পাঠান ময়মনসিংহের বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এর আদালতে একটি সি.আর মোকদ্দমা দায়ের করেন, মোকদ্দমা নং ৯৩৩/২০১৯। বিজ্ঞ আদালতের আদেশ প্রাপ্ত হয়ে ভালুকা সহকারী কমিশনার ভূমি দাখিল কৃত প্রতিবেদনে উল্লেখ্য করেন, ২৬৭ দাগে সরকারী ধোপাঝান খাল ও ২৬৮নং দাগের কিছু জমি জসিম পাঠানের দখলে থাকায় খালটি তার গতিপথ পরিবর্তন করে ২৬৮নং দাগে প্রবাহিত হচ্ছে। ৩-১০-২০২০ ইং সনে আব্দুর রাজ্জাক ধোপাজান খালটি উদ্ধারের জন্য ভালুকা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবরে একটি আবেদন করেন।
সম্মেলনে তৌফিক রাজ্জাক বলেন, ঘটনার দিন ১৪ জুলাই মিলের বর্জ্য ও পানি নিষ্কাশনের জন্য ফ্যাক্টরির দখলীয় সম্পত্তিতে পাইপ লাইন স্থাপনের কাজ চলাকালিন সময় কৌশলে আব্দুর রাজ্জাক সাহেবকে ঘটনাস্থলে ডেকে নিয়ে যায় এবং ঘটনাস্থলে আগে থেকেই ওঁৎপেতে থাকা জসিম পাঠান ও তার সহযোগীরা কুপিয়ে আব্দুর রাজ্জাক সাহেব এর দুই পা দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে।
উল্লেখিত ঘটনায় ভালুকা মডেল থানায় মামলা দায়ের করার পর পুুলিশ ও র্যাব এর অভিযানে দ্রুততম সময়ে ৭জন আসামী গ্রেফতর হওয়ায় পুলিশ ও র্যাব এর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে, তৌফিক রাজ্জাক বলেন, এজাহার ভূক্ত আসামী নাজিম উদ্দিন পাঠান ও মিজানুর রহমান পাঠান গ্রেফতার এরিয়ে প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা করছে এবং মামলার স্বাক্ষীদের বিভিন্ন ভয় ভিতি প্রদর্শন, হুমকি প্রদান ও মামলাটিকে ভিন্নদিকে প্রবাহিত করতে বিভিন্ন অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে, উক্ত আসামীদের তিনি অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবী জানান।