শিরোনাম

South east bank ad

৮ মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে বেত্রাঘাতে আহত

 প্রকাশ: ০৮ অগাস্ট ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

মোঃ রাজু খান, (ঝালকাঠি) :

ঝালকাঠিতে একটি হাফেজি মাদ্রাসার শ্রেণি কক্ষে দুষ্টমি করায় ৮ শিশু শিক্ষার্থীকে বেদম পিটিয়ে আহত করে কক্ষে আটকে রাখায় অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সদর উপজেলার পোনাবালিয়া গ্রামের কে এ খান হাফেজী মাদ্রাসায় শনিবার বিকেলে পেটানো হয়। বিক্ষুব্দ অভিভাবক ও এলাকাবাসী অভিযুক্ত শিক্ষক হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ উল্লাহকে আটক করে রাত ৯টার দিকে পুলিশে দেন। এসময় মাদ্রাসা থেকে ৪ ভিকটিমকে উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় রবিবার সকালে নির্যাতনের শিকার শিশুশিক্ষার্থী মো. আমিরুল ইসলামের বাবা শামিম খলিফা বাদি হয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক মোহাম্মদ উল্লাহকে আসামী করে ঝালকাঠি থানায় শিশু আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ জানায়, করোনাকালীন সময়ে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে কে এ খান হাফেজী মাদ্রাসা চালু রেখে পড়াশোনা চালিয়ে আসছিলেন মাদ্রাসাটির একমাত্র শিক্ষক মোহাম্মদ উল্লাহ। শনিবার বিকেলে তিনি মাদ্রাসায় ঘুমিয়ে পড়েন। এ সময় শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা করছিল। তাদের কথার শব্দে ওই শিক্ষকের ঘুম ভেঙে যায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শিক্ষক মোহাম্মদ উল্লাহ কক্ষের দরজা আটকে ৮ শিক্ষার্থীকে বেদম প্রহার করেন। শিক্ষার্থীরা কান্নাকাটি করতে থাকলে সকল শিক্ষার্থীকে কক্ষের মধ্যে আটকে রেখে বাইরে থেকে তালা ঝুলিয়ে দেন শিক্ষক। মারধরের বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য সকল শিক্ষার্থীকে ভয়ভীতিও দেখান তিনি। পরে মো. সিয়াম (৯) নামে এক শিক্ষাথর্ী কৌশলে পালিয়ে পোনাবালিয়া বাজারে এসে বিষয়টি লোকজনকে জানায়। তার মাদ্রাাসা ঘেরাও করে শিক্ষক মোহাম্মদ উল্লাহকে আটক করে পুলিশে দেয়।

ঝালকাঠি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খলিলুর রহমান জানান, শিশুশিক্ষার্থীদের নির্যাতনের অভিযোগে শিশু আইনে একটি মামলা করেছেন নিযার্তনের একজন অভিভাবক। আসামীকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। ঝালকাঠি আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এএসএম তারেক শামস শিক্ষক মোহাম্মদ উল্লাহকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

ক্যাপশনঃ- ঝালকাঠিতে হাফিজি মাদ্রাসার ছাত্রদেরকে বেদম প্রহারে আটক শিক্ষক মোহাম্মদ উল্লাহ।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: