শিরোনাম

South east bank ad

মাদারগঞ্জ-সারিয়াকান্দি নৌপথে ১২ আগষ্ট ফেরি চালুর উদ্বোধন

 প্রকাশ: ০৪ অগাস্ট ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

শামীম আলম, (জামালপুর) :

অবশেষে চালু হচ্ছে বহুল কাংখিত জামালপুরের মাদারগঞ্জ জামথল ঘাট থেকে বগুড়ার সারিয়াকান্দি ঘাট পর্যন্ত নৌপথে যমুনা নদীতে ফেরি সার্ভিস। এ খবরে যমুনার দুইপাড়ের মানুষের মাঝে আনন্দ ও উচ্ছ্বাস বিরাজ করছে।

আগামী বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) নৌপথে ফেরি সার্ভিসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব মির্জা আজম এমপি'র উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, যমুনার একপাড়ে জামালপুরের মাদারগঞ্জ, দেওয়ানগঞ্জ ও কাজলাঘাট এবং অন্যপাড়ে বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার কালীতলা ও মথুরাপাড়া। এই দুই নৌঘাট দিয়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষ যাতায়াত করে নৌকায়।বাহাদুরাবাদ-বালাসীঘাট নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধের পর বৃহত্তর ময়মনসিংহের বিভিন্ন জেলার মানুষ দেওয়ানগঞ্জের বদলে মাদারগঞ্জ হয়ে নৌকায় ও বগুড়া হয়ে যাতায়াত করছে। সারিয়াকান্দি- মাদারগঞ্জ নৌপথে চলাচলে অতিরিক্ত নৌকা ভাড়া ও প্রায় ৩/৪ ঘন্টা সময় বেশি লাগছে যাত্রীদের। তাই যমুনা নদীতে ফেরি চালুর খবরে উচ্ছ্বসিত দুই পাড়ের যাত্রীরা।

বগুড়ার সারিয়াকান্দি পৌর মেয়র মতিউর রহমান জানান, সারিয়াকান্দি-মাদারগঞ্জ নৌ পথে ফেরি চালু হলে উত্তরাঞ্চলের মানুষ রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলায় কম সময়ে অল্প ভাড়ায় যাতায়াত করতে পারবে।ফেরি চালু হলে যাত্রীদের দুর্ভোগ লাঘবের পাশাপাশি যমুনা সেতুর উপর অনেকাংশে চাপ কমবে।

আলহাজ্ব মির্জা আজম এমপি বলেন, মাদারগঞ্জ-সারিয়াকান্দি নৌ পথে ফেরি সার্ভিস চালুর প্রস্তুতি প্রায় শেষ। আপাতত যমুনার দুই পাড়ে ফেরিঘাট নির্মিত হচ্ছে না। প্রাথমিক অবস্থায় যাত্রী ও ছোট যানবাহন পারাপারের মধ্য দিয়ে ফেরি সার্ভিস চালু হলেও শীঘ্রই বড় যানবাহন পারাপার শুরু হবে। এ জন্য বগুড়া-জামালপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। মাদারগঞ্জ থেকে জামথল ঘাট পর্যন্ত এলজিইডির ১২ ফুটের সড়ক ২৪ ফুটে উন্নীত করতে সড়ক ও জনপথ বিভাগে হস্তান্তর করা হয়েছে।

উল্লেখ্য যে, তিস্তামূখ-বাহাদুরাবাদ নৌপথে ১৯৩৮ সালে বাহাদুরাবাদ রেল ফেরিঘাট চালু হয়। ১৯৮৮ সালের বন্যায় নদীর গতি পরিবর্তনের ফলে নাব্যতা সঙ্কটের কারণে ফেরি সার্ভিসটি তিস্তামুখ ঘাট থেকে বালাসীঘাটে স্থানান্তর করা হয়।বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণের আগে দিনাজপুর থেকে রংপুর হয়ে গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার বালাসীঘাট পর্যন্ত ট্রেন চলাচল অব্যাহত ছিল।তবে বঙ্গবন্ধু সেতু চালুর পর প্রথমে যাত্রীবাহী ট্রেন ও পরে মালবাহী ওয়াগন পারাপার বন্ধ হয়ে যায়।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: