শায়েস্তাগঞ্জে প্রবাসীর পরিবারকে সমাজচ্যুত
নুর উদ্দিন সুমন (হবিগঞ্জ):
অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার দক্ষিণ বড়চরে একটি পরিবারকে সমাজচ্যুত করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে এর প্রতিকার চেয়ে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। এ অভিযোগটি দায়ের করেন দক্ষিণ বড়চরের মৃত খিরাজ মিয়ার ছেলে প্রবাসী লিটন মিয়া। অভিযোগে তিনি উল্লেখ্য করেন, তিনি দীর্ঘ ১৮ বছর যাবত কুয়েতে অবস্থান করে আসছেন। বাড়িতে তার বৃদ্ধ মাতা, ভাই-বোন এবং স্ত্রী সন্তানসহ বসবাস করছে। চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি ছুটি নিয়ে বাড়িতে আসেন। তার বাড়ির পাশে মোঃ কামাল মিয়া আবাসিক এরিয়ার মধ্যে একটি ফার্নিচার দোকান ও কারখানা পরিচালনা করে আসছেন। ওই ফার্নিচার কারখানায় শ্রমিকরা রাত দিন সর্বাক্ষণিক কাজ করে। শ্রমিকদের উচ্চস্বরে কথাবার্তা, তার বাড়ির নারীদেরকে ইভটিজিং, গালমন্দ করা এবং কিছুসংখ্যক ইলেকট্রনিক্স মেশিনের বিকট শব্দ দূষণ এবং বিভিন্ন কেমিক্যাল তিনারের দুর্গন্ধের কারণে বৃদ্ধ মাতা, স্ত্রী ও ছোট শিশুর বিশ্রাম, ঘুমের বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে। পড়ালেখার ক্ষেত্রে বাচ্চাদেরও অসুবিধা হচ্ছে। সামাজিক ও পরিবেশ দূষণ করার কারণে ইতিপূর্বে স্থানীয় লোকজন গ্রাম্য মাতব্বরের মাধ্যমে কামাল মিয়াকে তার ফার্নিচারের কারখানা অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার জন্য বলা হলে, এতে তিনি কর্ণপাত করেননি। তাই ২৫ ফেব্রুয়ারি থানায় মৌখিক অভিযোগ দায়ের করায় বিবাদীগণ ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। তারা ১২ এপ্রিল রাতে নজরুল মিয়ার বসত ঘরে বৈঠকে বসে আমার পরিবারকে সমাজচ্যুত ও একঘরে করে রাখার বেআইনী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। একই সাথে গ্রামের সর্বস্তরের লোকজনকে বলে দেওয়া হয় আমাদের বাড়িতে না আসার জন্য। বিবাদীগণ হুমকি প্রদান করে বলে যে, ভাড়াটিয়া লোক দিয়ে তার ও তার পরিবারের লোকদেরকে ক্ষতি সাধন করে লাশ গুম করে ফেলবে হুমকি প্রদান করে। তাছাড়া নজরুল মিয়ার বসত ঘরে ১৮ জুলাই বৈঠকে বসে তার কুরবানির গরুর মাংস গ্রামের স্থানীয় গরিব প্রতিবেশীদের না নেওয়ার বেআইনী ও অসামাজিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এ অবস্থায় এ পরিবারটি আতঙ্কে রয়েছে। এর থেকে পরিত্রাণ চেয়ে প্রশাসনের কাছে তিনি সুবিচার কামনা করেন। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ মিনহাজুল ইসলাম বলেন- অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি গুরুত্বের সাথে তদন্ত করে দেখার জন্য শায়েস্তাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জকে বলা হয়েছে। শায়েস্তাগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মোরশেদ আলম বলেন- অভিযোগ পেয়ে তদন্তের জন্য এসআই হামিদুর রহমানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।