শিরোনাম

South east bank ad

শরীয়তপুরে লোডশেডিং দূর্বিসহ জনজীবন

 প্রকাশ: ০১ অগাস্ট ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

মো. রোমান আকন্দ, (শরীয়তপুর) :

পল্লীবিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। আকাশে মেঘ দেখার অযুহাতে বন্ধ করে দেওয়া হয় শরীয়তপুর পল্লী বিদ্যুৎতের লাইন। মিটার রিডিং না দেখে কাল্পনিক বিল করা, মিটার সরানো, ট্রান্সমিটার জলে যাওয়া, ফেইস পুরে যাওয়া সহ বিভিন্ন কাজের নামে রীতিমত চলছে গ্রাহক হয়রানি।

শরীয়তপুরের বিভিন্ন এলাকায় গ্রাহকরা জানায়, গত এক মাসে পল্লী বিদ্যুৎ এর লাইন শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ভোজেশ্বর, পাচক, কেদারপুর, মোক্তারের চর, বিঝারী ইউনিয়নের দিগম্বরপট্রি, চামটা, নশাসন শরীয়তপুর সদর উপজেলার আংগারিয়া, বিনোদপুর, চিতলিয়া, রুদ্রকর সহ বিভিন্ন এলাকায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রায় ৫/৬ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকে। বাকি সময় লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে। ফলে ভ্যাপসা গরমে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। আকাশে মেঘ দেখেই বন্ধ করে দেওয়া হয় পল্লী বিদ্যুত এর লাইন। আর মাঝ মধ্যে মেরামতের নাম করে বিদ্যুত বন্ধ থাকে পুরো দিন। পূর্ব থেকে কোন প্রকার আভাস বা মাইকিং করা হয়না। নামমাত্র অভিযোগ কেন্দ্রের মোবাইল নাম্বার। বিভিন্ন সময় শরীয়তপুর পল্লী বিদ্যতু এর গ্রাহকদের কাছে মোবাইল নম্বর সরবরাহ করলেও ঐ সকল মোবাইল প্রায় বন্ধ থাকে। অধিকাংশ সময় পল্লী বিদ্যুৎতর লোকজন মিটারের কাছে না গিয়ে এবং মিটার রিডিং না দেখে কাল্পনিক বিল করে থাকেন। অফিসে অভিযোগ করে ও গ্রাহকরা এর কোন সুরাহা পায়না। লাইন কেটে দেওয়ার ভয়ে গ্রাহকরা ঐ সকল ভুতড়ে বিলই পরিশোধ করে থাকেন। মিটার সরানো, ট্রান্সমিটার জলে যাওয়া, ফেইস পুরে যাওয়া সহ বিভিন্ন কাজের নামে রীতিমত চলছে গ্রাহক হয়রানি। গত একমাসে নড়িয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকা এবং পল্লী বিদ্যুতের আওতাভুক্ত এলাকা গুলোতে ২৪ ঘন্টায় ৫/৬ঘন্টা বিদ্যুৎ ছিল মাত্র।

নড়িয়া উপজেলার বিঝারী ইউনিয়নের দিগম্বর পট্রি গ্রামের পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক নাছির আহাম্মেদ আলী বলেন, নানা সমস্যার কারনে পল্লী বিদ্যুতের অভিযোগ কেন্দ্রে ফোন দিয়ে পাওয়া যায় না। পেলেও তারা গ্রাহকদের সাথে খারাপ আচরন করে। আর প্রায় অতিরিক্ত বিল পরিশোধ করতে হচ্ছে।

নড়িয়া উপজেলার ভোজেশ্বর এলাকার দেলোয়ার হোসেন, আনাখন্ড এলাকার আবু বকর মৃধা বলেন, (শনিবার) ভোর থেকে কোন ঝড় বৃষ্টি ছিল না। অথচ সকাল থেকেই প্রায় ২ ঘন্টা বিদ্যুৎ ছিল না। এরপর একাধিকবার বিদ্যুৎ আসা যাওয়া করছে। এ গরমে বাসায় টিকে থাকার উপায় নেই।
ভোজেশ্বর বাজারের দোকানদার আতাউর রহমান বলেন, ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে আমরা ঠিক মত ব্যবসা বানিজ্য করতে পারছিনা।
এব্যাপারে শরীয়তপুর পল্লী বিদ্যুত সমিতির জেনারেল ম্যানেজার জুলফিকার রহমান বলেন, গত দুই মাসে বৃষ্টি ও ঝড়ের কারনে আমাদের কিছু সমস্যা ছিল। মাঝে মধ্যে মেরামতের জন্য ও কিছু সময় বিদ্যৎু বন্ধ রাখতে হয়েছে। তবে বিদ্যুতের ঘাটতি নেই। আগামী মাস থেকে সব ঠিক হয়ে যাবে।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: