ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানজটেই কর্মস্থলে ফিরতে হচ্ছে
মো. আবু জুবায়ের উজ্জল, (টাঙ্গাইল)
গণপরিবহন চালু হওয়ায় অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে ষন্টার পর ঘন্টা একই জায়গায় গাড়ীতে বসে থাকায় ব্যবসা গরমে ক্লান্ত শরীরে গার্মেন্টসকর্মী হাবিব সিকদার বলেন সরকার হঠাৎ ঘোষণা দেয়ায় চাকুরী বাচাতে কষ্ট করে কর্মস্থলে ফিরতে হচ্ছে। পাবনা থেকে ভোর রাতে গাজীপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছি। ৬ ষন্ট অতিবাহিত হলেও টাঙ্গাইল পার হতে পারি নাই। স্বাভাবিক সময়ে পাবনা থেকে গাজীপুর যেতে সর্বোচ্চ চার ঘন্টা সময় লাগে। কিন্তু আজকে যে অবস্থা তাতে আট ঘন্টার বেশি সময় লাগবে।
এদিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু মহাসড়কে ২৫ কিলোমিটার এলাকায় উত্তরবঙ্গ মুখী লেনে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। রোববার (১ আগস্ট) ভোর রাত থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপার হতে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ঘারিন্দার ওভার বিড়িছ পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে শ্রমিকদের কর্মস্থলে ফিরতে ষন্টার পর ষন্টাএকই জাগায় বসে থাকা এবং গাড়ীর গরমে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে গন্তেব্যে ফেরা মানুষ।
সরেজমিন দেখা যায়, মহাসড়কের ঘারিন্দার ওভার বিড়িছ, কান্দিলা, রাবনা, বিক্রমহাটি, রসুলপুর, পুংলি ও এলেঙ্গাতে উত্তরবঙ্গ মুখী লেনে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। তবে ঢাকামুখী লেনে যানবাহনের চাপ থাকায় ধীর গতিতে চলাচল করছে। গণপরিবহন চালু হলেও খোলা ট্রাক, পিকআপ ও মোটর সাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহনে গন্তব্যে ফিরছে মানুষ। কাউকে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখা যায়নি। যে যার মতো গন্তব্যে ফিরছে।
এবিষয় এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইয়াসির আরাফাত বলেন মহাসড়কের শ্রমিকদের কর্মস্থলে ফিরতে গণপরিবহন চালু হওয়ার পর ভোর রাত থেকে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ রয়েছে। তবে এতক্ষন একই জায়গায় বসে থাকার কোন উপায় নাই । গাড়ী ধীর গতিতে চলছে কোথাও কোন গাড়ি থেমে নেই।