শিরোনাম

South east bank ad

অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরায় আইকনিক চ্যান্সেরি ভবন নির্মাণ করতে যাচ্ছে সরকার

 প্রকাশ: ২৬ জুলাই ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

১৪৬ কোটি ৮৭ লাখ টাকা ব্যয়ে অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরায় একটি আইকনিক চ্যান্সেরি ভবন নির্মাণ করতে যাচ্ছে সরকার। ‘অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরায় বাংলাদেশি চ্যান্সেরি ভবন শীর্ষক’ প্রকল্পের আওতায় এমন উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

২০২১ থেকে ২০২৫ মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ হাই কমিশন ক্যানবেরা।

প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ক্যানবেরায় বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব জমিতে একটি আইকনিক চ্যান্সেরি ভবন নির্মাণ হবে। প্রকল্পটি বুধবার (২৮ জুলাই) শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠেয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় উপস্থাপনের জন্য প্রস্তুত করে রেখেছে পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগ।

পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) মো. মামুন-আল-রশীদ গণমাধ্যমকে বলেন, প্রকল্পটি একনেক সভায় উপস্থাপন করা হবে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক, বিশেষ করে ব্যবসা, বাণিজ্য, উন্নয়ন সহযোগিতা প্রভৃতি ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। একই সময়ে উভয় দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিমাণ ছয়গুণ বেড়েছে। এসব কথা বিবেচনা করেই মূলত প্রকল্পটি নেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ হাইকমিশন ও ক্যানবেরায় কর্মরত কর্মকর্তাদের জন্য সহায়ক কর্মপরিবেশ সৃষ্টি হবে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে। ক্যানবেরায় সরকারের নিজস্ব জমিতে আইকনিক চ্যান্সেরি ভবন নির্মাণের মাধ্যমে বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে।

বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়ায় তৈরি পোশাক, ওভেন, ফেব্রিকস, নিটওয়ার, হোম টেক্সটাইল, চামড়াজাত পণ্য ও জুতা, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, হিমায়িত মাছ, পাটজাত পণ্য প্রভৃতি রফতানি করা হয়। ক্যানবেরায় বাংলাদেশের হাইকমিশন বর্তমানে ওমেলির আবাসিক এলাকায় একটি ভাড়া বাড়ি থেকে পরিচালিত হচ্ছে। প্লটটির আয়তন ১ হাজার ৯৯০ বর্গমিটার এবং অফিস ভবনের আয়তন ১ হাজার ৫৯০ বর্গমিটার। বর্তমান স্টাফদের তুলনায় এটি অপর্যাপ্ত। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে হাইকমিশনের কাজের পরিসর বেড়েছে। বর্তমানে সেখানে আটজন কূটনীতিক কর্মরত আছেন। এদের মধ্যে কনস্যুলার সেকশনে কর্মরত দু’জনের জন্য কোনো আলাদা কক্ষ বরাদ্দ নেই। তারা অন্যান্য স্টাফদের সঙ্গে উম্মুক্ত জায়গায় বসে কাজ করেন। অফিস ভাড়ার পাশাপাশি বিভিন্ন জাতীয় দিবস ও অনুষ্ঠান উদযাপনের জন্য ভেন্যু ভাড়া বাবদ মিশনকে বছরে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতে হয়।

অস্টেলিয়ার সরকার ১৯৮৫ সালে ক্যানবেরার কূটনৈতিক এলাকা ইয়ারালুমলাতে চ্যান্সেরি কমপ্লেক্স নির্মাণের জন্য বাংলাদেশ সরকারকে ১১০ কাঠা আয়তনের একটি প্লট বরাদ্দ দেয়। ১৯৯৯ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী প্লটটিতে চ্যান্সেরি কমপ্লেক্স নির্মাণের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্মাণ কাজ শুরু না করায় ২০০৪ সালে জমিটি অস্ট্রেলিয়া সরকারকে ফেরত দিতে হয়। ২০১০ সালে বর্তমান সরকার আবার একটি প্লট বরাদ্দ পাওয়ার উদ্যোগ নেয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে অস্ট্রেলিয়ার সরকার ২০১১ সালে এ কূটনৈতিক এলাকায় ১০ কোটি ১৯ লাখ টাকা মূল্যে ৭৪ কাঠা আয়তনের একটি প্লট বরাদ্দ দেয়। জমিটি বর্তমানে বাংলাদেশ হাইকমিশনের দখলে রয়েছে।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: