কঠোর বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিনে বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও দৌলতদিয়া ঘাট দিয়ে ছুটছে মানুষ
করোনার সংক্রমণ রোধে সরকারের ঘোষিত টানা ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিনে আজ শনিবার ভোর থেকেই মানুষ ঢাকামুখী। বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে বৃষ্টি মাথায় নিয়ে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটে মানুষের উপস্থিতি দেখা যায়। এ ছাড়া অনেক খেটে খাওয়া মানুষ ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক দিয়ে হেঁটে ফেরিঘাটে পৌঁছে। ফেরিগুলো যানবাহন ও যাত্রী নিয়ে ঘাট ছেড়ে যাচ্ছে।
আজ শনিবার সকালে দেখা যায়, ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অনেকটাই ফাঁকা। কেউ হেঁটে, কেউ মাথায় পলিথিন মুড়ে রিকশায় করে দৌলতদিয়া ঘাটে এসে নামছেন। আবার অনেকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বা মাহেন্দ্র রিজার্ভ করে ঘাটে যাচ্ছেন। তাঁরা নির্বিঘ্নে সরাসরি ফেরিতে উঠছেন। ব্যক্তিগত কিছু গাড়ি, মোটরসাইকেল আর আগত যাত্রীদের নিয়েই মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ছেড়ে যাচ্ছে ফেরি।
সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পাটুরিয়া থেকে আসা ইউটিলিটি ফেরি চন্দ্রমল্লিকা দৌলতদিয়ার ৬ নম্বর ঘাটে এসে ভেড়ে। এ সময় ফেরিতে কয়েকটি ব্যক্তিগত ও পণ্যবাহী যানবাহন এবং বেশ কয়েকজন যাত্রী দেখা যায়। ফেরিটি প্রায় এক ঘণ্টা অপেক্ষার পর দৌলতদিয়া ঘাট থেকে দেড় শতাধিক যাত্রী, কয়েকটি মোটরসাইকেল ও চারটি যানবাহন নিয়ে পাটুরিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
ইউটিলিটি ফেরি বনলতার দ্বিতীয় মাস্টার মোকায়েম খান বলেন, ‘কঠোর বিধিনিষেধের কারণে যানবাহনের সঙ্গে যাত্রীর চাপ খুবই কম। তবে নেহাত বিপাকে পড়ে আসা কিছু যাত্রীদের পারাপার হতে দেখা যাচ্ছে। আজ সকাল ৬টার দিকে পাটুরিয়া থেকে বৃষ্টির মধ্যে শুধু কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স আর কিছু যাত্রী নিয়ে দৌলতদিয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাই। ঘাট থেকে আমরা খালি ফেরি কখনো ছাড়ছি না। একটু দেরি করে অ্যাম্বুলেন্স, জরুরি গাড়ি বা পণ্যবাহী গাড়িসহ যাত্রী নিয়েই ছেড়ে যাচ্ছি। এতে কখনো কখনো ফেরি ছাড়তে এক, দেড় ঘণ্টাও সময় লাগছে।’
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক শিহাব উদ্দিন বলেন, উভয় ঘাটে ছোট-বড় মিলে মোট ১৫টি ফেরি আছে। যখন যে ঘাট থেকে যানবাহন নিয়ে ছাড়া প্রয়োজন, সেভাবেই ছেড়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া একটি মাঝারি আকারের ভিআইপি ফেরি রাখা হয়েছে। যেকোনো মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এলে তাঁদের পারাপার করা হবে। তবে কঠোর বিধিনিষেধের কারণে ঘাটে আসা যানবাহন সরাসরি ফেরিতে ওঠার সুযোগ পাচ্ছে।