বিনামূল্যে দেশের ১৭টি হট স্পটে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে আবুল খায়ের গ্রুপের অক্সিজেন
জটিল ও মারাত্মক করোনা রোগীদের জীবন রক্ষায় বিনামূল্যে অক্সিজেন সিলিন্ডার সরবরাহ অব্যাহত রেখেছে দেশের অন্যতম শিল্পপ্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের গ্রুপের। চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে এ কোম্পানির রড কারখানায় উৎপাদিত ৩০ টন অক্সিজেন দেশের ১৭টি হট স্পটে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। জরুরি প্রয়োজন মেটাতে আগামী মাস থেকে তরল অক্সিজেন উৎপাদনের ক্ষমতা আরো বাড়ানো হচ্ছে। এখন প্রতিদিন মজুদ থাকে প্রায় ১৫০ টন অক্সিজেন।
আবুল খায়ের স্টিলের সিইও এম আবদুল্লাহ বলেন, ‘উৎপাদিত তরল অক্সিজেনের অন্তত ১৫০ টন আমাদের চট্টগ্রামের প্ল্যান্টে মজুদ থাকে। স্পেক্ট্রা ও লিন্ডা এ দুটি কোম্পানি বিশেষায়িত গাড়ির মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অক্সিজেন পাঠানো হয়। এর বাইরে আমরা নিজেদের উদ্যোগেও সিলিন্ডারে করে বিভিন্ন হাসপাতালে পৌঁছে দিচ্ছি। প্রতিটি সিলিন্ডারে ৬ দশমিক ৪ কিউবিক মিটার অক্সিজেন থাকে। বিদেশ থেকে যন্ত্রাংশ আমদানি করে আগামী মাস থেকে উৎপাদন ক্ষমতা আরো বাড়ানো হচ্ছে।’
কোম্পানির একজন পরিচালক জানান, সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে ১৬টি স্পটের ধারণা দেয়া হয়। তখন আরো তিন হাজার সিলিন্ডার চীন থেকে আমদানি করে অক্সিজেন ব্যাংক স্থাপন করে দেয়া হচ্ছে সে হাসপাতালগুলোতে। সিলিন্ডার থেকে অক্সিজেন ব্যাংকে অক্সিজেন ভতি করতে সময় লাগে মাত্র ১০ মিনিট। তিনি আরো জানান, উৎপাদিত অক্সিজেন সারা দেশে দ্রুত সরবরাহ ও বিতরণ ব্যবস্থার এখনো তেমন উন্নতি হয়নি। দুটি বেসরকারি কোম্পানি সীমিত পরিসরে প্রকল্প এলাকা থেকে হাসপাতালে অক্সিজেন নেয়ার পরিবহন ব্যবস্থা রয়েছে।
এর আগে সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়ে যেসব এলাকায় নিয়মিত চাহিদামাফিক অক্সিজেন সরবরাহ হচ্ছে তার একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে- টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কক্সবাজার সরকারি হাসপাতাল, নোয়াখালী আবদুল মালেক উকিল হাসপাতাল, নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঝিনাহদহ, কিশোরগঞ্জ, চাঁদপুর, নীলফামারী, নঁওগা, সুনামগঞ্জ, বগুড়া, কমিল্লা, জামালপুর, বরগুনা ও ঢাকার হাতিরঝিল। আবুল খায়ের গ্রুপের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এর মধ্যে গোপালগঞ্জে অক্সিজেন সরবরাহ পরিস্থিতি বেশ ভালো, সেখানে পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়েছে।