দুই টাকায় ৩৫০ জন মানুষ খেলো দুপুরের খাবার
কায়সার সামির (মুন্সিগঞ্জ):
"মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য, একটু সহানুভূতি কি মানুষ পেতে পারেনা, ও বন্ধু" ভূপেন হাজারিকার এমন স্পর্শ কাতর গানের মতোই
মুন্সিগঞ্জ জেলায় এক দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছেন দ্য হেলমেট অল কাইন্ড অফ হিউম্যানিটি নামের একটি সামাজিক সংগঠন।
রোববার দুপুর দিকে জেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে 'চলো পেট ভরে খাবার খাই' এই শ্লোগানে জেলার প্রায় ৩৫০ জন কর্মহীন, সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও অসহায় মানুষের দুই টাকায় দুপুরের খাবার খাওয়ানো হয়। এরই মধ্যে দিয়ে শেষ হয়েছে পাঁচ দিনব্যাপী এই কর্মসূচি।
দ্যা হেলমেট অল কাইন্ড অফ হিউম্যানিটি এর আয়োজনে, শহর শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মালেকুন মাকসুদ বিপুল ও ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. খায়রুল ইসলামের এর সার্বিক সহযোগিতায় প্রতিদিন ১৫০ থেকে ৩৫০ জন পথচারী, সুবিধাবঞ্চিত শিশু, দিন মজুর ও ভিক্ষুক দুই টাকার বিনিময় এ খাবার খেয়েছেন। সকলেই স্বাচ্ছন্দভাবে পেট ভরে খাবার খেয়ে খুশিতে মাতোয়ারা।
এ সময় দুই টাকায় পেট ভরে খাবার খাই' এ কাজের অনুপ্রেরণা দিতে উপস্থিত ছিলেন মুন্সিগঞ্জ জেলা গার্লস গাইড কমিশনার ও কে কে সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষিকা শিউলি আক্তার, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ জেলা শাখার সভাপতি এড. নাসিমা আক্তার, উদীচীর জেলা সাধারণ সম্পাদক হামিদা খাতুন ও অ্যডভোকোট নাজমা আক্তার নীরা।
দ্য হেলমেট অল কাইন্ড অফ হিউম্যানিটি সমন্বয়ক, রুনা আক্তার ছোঁয়া, লজিস্টিক সমন্বয়ক গাজী হৃদয়, লজিস্টিক মনিটর পিংকি আক্তার চৈতী, অর্থ সমন্বয়ক সিজান আহাম্মেদ হৃদয়, সহ-অর্থ সমন্বয়ক হুমায়রা তাঞ্জুম অর্না, আইটি সমন্বয়ক রিফাত শেখ, সহ আইটি সমন্বয়ক, মো. রিয়াজ তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে এমন একটি মহৎ কাজ সমাপ্ত হলো।
তারা বলেন, আমরা চাই এটা সব সময় চালু থাকুক। আমার পাঁচ দিনের জন্য এই কার্যক্রম শুরু করেছি। এর মধ্যে অনেকেই এগিয়ে এসেছে সহযোগিতা করার জন্য। সমাজের উচ্চবিত্তদের উদ্দেশ্যে বলেন, তারা একটু সহযোগিতা করলে আমারা এই কার্যক্রম বছরব্যাপী চালিয়ে যেতে পারি। অসহায় মানুষ অন্তত এক বেলা পেট ভরে খাবার খেতে পারে এটা নিশ্চিত করা আমাদের দেশের। তাই সমাজের উচ্চবৃত্ত দানশীল মানুষদের এগিয়ে আসার আহবান করেন এই সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
তাদের সংগঠনের উদ্দেশ্য, পরিচ্ছন্নতা, শিশুদের নিরক্ষরতা দূর ও পথ শিশুদের সহায়তা নিয়ে কাজ করা।