শিরোনাম

South east bank ad

দুর্গাপুর কেরনখলা ফেরীঘাটের উজান থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে হুমকিতে বসতবাড়ি

 প্রকাশ: ১৮ জুলাই ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

এস.এম রফিকুল ইসলাম রফিক (দুর্গাপুর):

নেত্রকোণা জেলার দুর্গাপুর উপজেলার চন্ডিগর ইউনিয়নের কেরণখলা গ্রামের সোমেশ্বরী নদীতে কেরণথলা ফেরীঘাটের উজানে বাংলা ড্রেজার বসিয়ে অবাধে চলছে বালু উত্তোলন। স্থানীয় কারও কোন কথাই পাত্তা দিচ্ছেন না স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের ছোট ভাই স্বপন মিয়া। ঐ এলাকার প্রভাবশালী মহলটি কোন প্রকার ইজারা ছাড়াই সোমেশ্বরী নদীর খাস জায়গার মাঝখান থেকে ড্রেজার বসিয়ে লক্ষ লক্ষ ঘনফুট বালু উত্তোলনের পর বিশাল স্তূপ করে ভ্যাকো দিয়ে বালু তুলে বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি টাকা। ১৭ জুলাই রোববার বিকেলে কেরণখলা এলাকায় সরেজমিন ঘুরে এর সত্যতা পাওয়াগেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে অসংখ্য স্থানীয় ভুক্তভোগী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বালু উত্তোলনের কারণে আশপাশের কৃষকের ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষতি সাধন হচ্ছে। কেরণখলা বেরিবাঁধটি ধসে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে পড়ার শঙ্কায় ভুগছেন স্থানীয়রা। অবাধে বালু উত্তোলনের ফলে আশপাশের ফসলি জমি হুমকীতে রয়েছে বলে জানান কৃষকরা। ক্ষতিগ্রস্থরা বাঁধা দিলে ঐ প্রভাবশালী বালু ব্যবসায়ী মহলটি মারমুখী হয়ে উঠেন বলেও অভিযোগ অসংখ্য ভুক্তভোগীর। পহেলা রমজানে চন্ডিগর ইউপি চেয়ারম্যান আলতাবুর রহমান কাজলের প্রভাব কাটিয়ে ছোট ভাই মোঃ স্বপন মিয়া কেরণখলা গ্রামে তার পরিত্যক্ত জমিতে স্থানীয় সেকুল মিয়া, কাশেম মেম্বার, হাবিল উদ্দিন সহ আরো দুজন মিলে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন শুরু করে বিশাল আকারের স্তূপ তৈরী করে। পরে সেখান থেকে বালু বিক্রির মহোৎসব চালাচ্ছে দেদারছে এই মহলটি।

এই অবাধ বাণিজ্যে প্রতিযোগিতায় নেমে স্বপনের বাল্রু পোট থেকে দুইশত গজ দক্ষিণে স্থানীয় আব্দুল আজিজ, ছিদ্দিক, সালাম, মিলন মিয়া, সেলিম, আল আমিন যৌথভাবে নদী থেকে বালু উত্তোলন করে স্তূপ করে রাখে। সম্প্রতি ঐ বালুর স্তূপটি সাড়ে ৬লাখ টাকা চুক্তিতে বিক্রি করেছেন বলে জানান স্থানীয়রা। নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ঐসব বাংলা ড্রেজার আপাতত বন্ধ রেখেছে তারা। তবে কয়েকদিনের মধ্যেই ঐসব বালু ব্যবসায়ীরা ড্রেজার বসানোর পরিকল্পনা করছেন বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রত্যক্ষ এক ড্রেজার মালিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আব্দুল আজিজের বালুর স্তূপের কিছুটা দক্ষিণ দিকে অগ্রসর হলেই দেখাযায় উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ সরকারের নেতৃত্বে সঙ্গীয় দুইজন পার্টনার নিয়ে ড্রেজার দিয়ে সোমেশ্বরী নদী থেকে বালু উত্তোলন করে দেদারছে বালু বিক্রি করেযাচ্ছে তরা । এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ স্থানীয়রা মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না। তারা উপজেলা প্রশাসন সহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

এবিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আলতাবুর রহমান কাজল’র মোবাইল ফোনে ৯বার কল করেও তার মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

অবৈধ উপায়ে বালু উত্তোলণ ও বিক্রির সাথে জড়িত ব্যবসায়ী মোঃ স্বপন মিয়া’র নিকট জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি বারবার এড়িয়ে যান।

এ বিষয়ে নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান বলেন বিষয়টি আমার জানা ছিলনা,তবে এর সত্যতা থাকলে অবশ্যই আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: