শিরোনাম

South east bank ad

ফরিদপুর জেলা পুলিশের করোনাকালীন সেবায় মুগ্ধ সাধারন মানুষ

 প্রকাশ: ১৭ জুলাই ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

ফরিদপুর জেলা পুলিশের করোনাকালীন সেবায় মুগ্ধ সাধারন মানুষ পুলিশকে সেবক দেখতে চান সারা বছর।ফরিদপুর জেলা পুলিশের অভিবাবক পুলিশ সুপার আলীমুজ্জামান এবং জেলার সংবাদকর্মীদের তথ্যসেবক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম। এই দুই শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তার সমন্বিত সেবায় স্ব-স্ব স্থানের মানুষ ও সাংবাদিকরা নানাবিধ সুযোগ সুবিধা ও সেবা নিয়েছেন।
বিগত করোনাকালীন অবস্থার শুরু থেকে জেলার সব শ্রেণীর মানুষ মনে করেন জেলা পুলিশের বিশাল আমল পরিবর্তন হয়েছে।
পাশাপাশি পুলিশ করোনাকালীন সেবা পালন অবস্থায় বহু চেকপোস্টের মাধ্যমে কমপক্ষে ৪ থেকে ৫ কেজি গাঁজা শত শত পিস ইয়াবা, বিশাল বিশাল গাঁজার গাছ, গাঁজার বাগান, বিদেশি মদ এবং ফেনসিডিলসহ বহু অবৈধ জিনিস উদ্ধার করেছে।
পাশাপাশি জেলা পুলিশ, ডিবি পুলিশ এবং ডিএসবি পুলিশের বিশেষ গোয়েন্দা তৎপরতা অপরাধ প্রবনতা কমেছে বহুগুণে।
পুলিশের বিশেষ গুন, সততা, জনসেবা ও গোয়েন্দা তৎপরতার সফলতা, চোর ডাকাত, ছিনতাইকারি, পকেটমার পাকড়াও, চাঁচাবাজি, জুলুম ও অত্যাচারী রোধ এ বিশেষ গুণের কারণে বহু পুলিশ অফিসার ও পুলিশ সদস্যের পুরস্কারও দিয়েছেন পুলিশ সুপার।
ফরিদপুরবাসী মনে করেন, এ শ্রেষ্ঠ প্রতিদান পাওয়ার পিছনে ছিল সততা, কর্মদক্ষতা, সহজ সরলতা এবং নিরলসভাবে নিষ্ঠাবান হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার।
ফরিদপুর পুলিশ বিভাগের মধ্যে এবং সাধারন মানুষের মধ্যে দ্রুততম সাহসী এবং কুইক সেবা দিয়ে বহু করেনা রোগীর জীবন বা্ঁচিয়েছেন আরও ওয়ান আনোয়ার হোসেন সাহেব।
করোনায় আক্রন্ত এবং প্রাণে বেঁচে যাওয়া রোগীর স্বজনদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেল একজন পুলিশ অফিসার বীরের কথা।
তিনি মুমুর্ষ অবস্থার করোনার রোগীকে নিয়ে বোয়ালমারী থেকে ফরিদপুর এবং ফরিদপুর থেকে ঢাকা গেছেন, নিজে গাড়ী ড্রাইভ করে আরও ওয়ান আনোয়ার হোসেন।
পুলিশও মানুষ, পুলিশও কারও সন্তান, কারও বাবা, কারোর স্বামী বা স্ত্রী। এদের মনেও আছে প্রেম, ক্রোধ ও ভালবাসা। তারা শুধু মানুষকে কাঁদায়ই না, তারা বহু মানুষকে হাসায়ও। তারা শুধু ভালবাসতে নয়, জীবনও দিতে জানে।
ফরিদপুর পুলিশের মধ্যে বহু পুলিশ সদস্য আছেন, তাদের এক মাসের রেশন, বেতন, বোনাসের টাকা করোনালীন অবস্থায় অতি গোপনে রাতের অন্ধকারে বৃষ্টিতে ভিজে মানুষের দুয়ারে খাদ্য খাবার পৌঁছে দেন।
এমনিভাবে জেলার পুলিশ সুপার আলীমুজ্জামান, জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা, জেলা বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম, কোতোয়ালী থানার অফিসার্স ইনচার্জ মো. আবদুল জলিল, ডিএসবির আরও ওয়ান আনোয়ার হোসেন, এদের মানবিক ভালবাসায় করোকালীন অবস্থায় অসহায় ও ক্ষুধার্ত মানুষের মধ্যে বাঁচার আশা জাগিয়েছে বহুগুণে।
এমনও দেখা গেছে পুলিশ অফিসার বা পুলিশ সদস্যরা সারাদিন করোনারকালীন ডিউটি করে রোদে পুড়ছেন আবার বৃষ্টিতেও ভিজছেন। আবারও রাতে ছুঁটছেন অসহায় অভাবি ও ক্ষুধার্ত মানুষের খাবার নিয়ে অন্ধকার রাতে কারোর বাড়ির দরজায়।
পুলিশ খবর পেয়েছেন, চর এলাকা অথবা পাড়াগাঁয়ের কোন বাড়িতে কোন নর অথবা নারী অসুস্থ হয়ে পরছেন অমনি পুলিশ ছুঁটছেন গাড়ী নিয়ে পৌঁছে দিছেন হাসপাতালে।
পুলিশ লাইনের বহু মানবিক পুলিশ এখন ছুঁটছেন মানব সেবায়। কারোর প্রচণ্ড শ্বাস কষ্ট হচ্ছে খবর শুনে ছুঁটছেন গ্যাসের বোতল বা অক্সিজেন নিয়ে।
বহু লাশের গোসল করিছেন পুলিশ, বহু লাশ দাফন করিয়েছেন পুলিশ, বহু সনাতন ধর্মের লোকের দেহ দাহ করছেন পুলিশ, কবর খুড়ছেন পুলিশ, বাঁশ কাটছেন পুলিশ, দাফনের কাফন কিনছেন পুলিশ, জানাজাও পড়িয়েছেন পুলিশ।
এত গুন, এত দরদ, এত মহব্বত, এত ভালবাসা, পরোপকারী এবং মহামানব হতে পারেন এই পুলিশ যে কোন পরিবেশ ও পরিস্থিতিতে।
তাই পুলিশের সব বিষয় ভুল না বুঝে, পুলিশকে মানবিক বিবেক দিয়ে ভালবাসতে শিখি।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: