১৪ দিন পর শিমুলিয়া ঘাট স্বাভাবিক
কায়সার সামির (মুন্সীগঞ্জ):
টানা ১৪ দিন লকডাউন শেষে শিমুলিয়া ঘাটে স্বাভাবিক হয়েছে যান চলাচল। সকাল থেকে ফেরি দিয়ে থেমে থেমে পারাপার হচ্ছে পণ্যবাহী ট্রাক, কভারভ্যান, অ্যাম্বুলেন্স ও দূরপাল্লার বাস। বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) সকাল দিকে শিমুলিয়া ফেরি ঘাটে এ দৃশ্য দেখা গেছে।
বাংলাবাজার থেকে ছেড়ে আসা এনায়েতপুরি ফেরি দিয়ে যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী যানের সাথে তিনটি ট্রাক দিয়ে কোরবানির গরু পোস্তগোলা বিক্রির জন্য নিতে দেখা গেছে। এছাড়া শিমুলিয়া ঘাট এলাকায় অপেক্ষায় রয়েছে ছোট বড় প্রায় ৫ শতাধিক গাড়ি। এদিকে লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক থাকায় ফেরিতে যাত্রীর চাপ কম রয়েছে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রী ও গাড়ি বাড়ছে।
সকাল থেকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও শিমুলিয়া-মাঝিকান্দি নৌরুটে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে। লঞ্চে উভয়মুখী যাত্রীদের চাপ স্বাভাবিক চলাচল করছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের উপ-মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) শফিকুল ইসলাম জানান, সকাল থেকে এই রুটে ১০টি ফেরি চলাচল করছে। পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে ৫ শতাধিক গাড়ি। তবে ফেরি ঘাটে যাত্রীদের তেমন কোনো ভিড় নেই।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন (বিআইডব্লিউটিএ)'র শিমুলিয়া ঘাটের সহকারি পরিচালক সাহাদাত হোসেন জানান, অন্যান্য দিনের চেয়ে মানুষের চাপ স্বাভাবিক রয়েছে। ঘাটে ৮৭টি লঞ্চের মধ্যে ৭৮টি লঞ্চ দিয়ে যাত্রী পারাপার করছে। বাকী লঞ্চগুলোর কাগজপত্র আপডেট করা নেই বিধায় চালাতে পারছে না।
প্রসঙ্গত, করোনার কারণে একাধারে ১৪ দিনের সরকার ঘোষিত লকডাউন শেষে বৃহস্পতিবার থেকে লঞ্চ ও গণপরিবহন চলাচলের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।