লকডাউন ও বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে কঠোর অবস্থানে শরীয়তপুর জেলা পুলিশ
বিশ্বে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের প্রভাব বেড়েছে বহুগুণ। ভারতীয় ডেল্টা ভেরিয়েন্টের কারণে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে হু হু করে। শহরের পাশাপাশি করোনার সংক্রমণ বেড়েছে গ্রামেও। গতকাল শনিবার সারাদেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১৮৫ জনের। এছাড়া আক্রান্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৭৭২ জন। শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিবেদন অনুসারে, গত ১ জুলাই থেকে ১০ জুলাই পর্যন্ত এ ১০ দিনেই দেশে আক্রান্ত হয়েছে ৯৬ হাজার ৫৭ জন। আর এ সময়ে করোনায় সারাদেশে মৃত্যুবরণ করেছে এক হাজার ৬৮৬ জন। এই সময়ে প্রতিদিনই সংক্রমিত হয় ৩০ থেকে ৩২ শতাংশ মানুষ।
এছাড়া করোনাভাইরাসের প্রকোপ ঠেকাতে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের সমন্বয়ে গ্রাম ও ওয়ার্ড পর্যায়ে কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
শনিবার ‘কোভিড-১৯ -এর দ্বিতীয় ঢেউ প্রতিরোধ ও মোকাবিলায় মাঠ পর্যায়ে জনসচেতনতা সৃষ্টির করতে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ এবং দিকনির্দেশনা প্রদান’ উপলক্ষে আয়োজিত এক ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্তের কথা জানায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
শরীয়তপুরে আজ রোববার ১১ জুলাই ২০২১ইং তারিখ সকাল থেকেই সরকার ঘোষিত করোনার সংক্রমণ রোধকল্পে সার্বিক কার্যাবলি ও চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণে কঠোর অবস্থানে রয়েছে শরীয়তপুর জেলা পুলিশ।
প্রতিদিনের মতো আজও শরীয়তপুরে পুলিশ সুপার এস. এম. আশরাফুজ্জামানের নির্দেশে মাঠে রয়েছে জেলা পুলিশের সব ইউনিট। জেলার সব গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসানো হয়েছে পুলিশি চেকপোস্ট। প্রয়োজন ছাড়া বাহিরে অবস্থান করলেই নেওয়া হবে আইনি ব্যবস্থা। শরীয়তপুর শহরে এবং জেলার সব থানা এলাকার জনসমাগম নিয়ন্ত্রন এবং আইন বহির্ভূত যান চলাচল ঠেকাতে সকাল থেকেই জেলা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ ও সব থানা পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
শরীয়তপুরে এসময় সর্বসাধারণকে ঘরমুখী করতে সচেতনতামূলক প্রচারণা, অনুমতি বিহীন যানবাহন আটকসহ নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।