হবিগঞ্জের এসপির সহায়তায় লালিত হচ্ছে জ্যোৎস্নার স্বপ্ন
চুনারুঘাটের রামশ্রী গ্রামের জ্যোৎস্না বেগম। বছর তিনেক আগে সিএনজি চালক স্বামী ব্রেইন স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ায় বাকরুদ্ধ হয়ে শয্যাশায়ী। ৪ কন্যা সন্তান নিয়ে অথৈ সাগরে পড়েন জ্যোৎস্না। ভবিষ্যত চিন্তায় চোখজুড়ে শুধুই অন্ধকার। তখন ২০১৯ সাল। বড় মেয়েটির সবে প্রাথমিক সমাপনী শেষ হয়েছে। আর্থিক দৈন্যতায় মেয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি অনিশ্চিত। এমন সময় স্থানীয়দের পরামর্শে যোগাযোগ করেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা’র সাথে। পড়ালেখায় মেয়েদের আগ্রহ আর মেধা দেখে দায়িত্ব নেন তিনি। সেই থেকে আজ অবধি ৪ মেয়ের পড়ালেখাসহ আনুষঙ্গিক খরচ যুগিয়ে যাচ্ছেন। পুলিশ সুপারের বদলির খবরে মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ে জ্যোৎস্নার। কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেও আজ দুপুরে পুলিশ সুপারের সাথে দেখা করতে ছুটে আসেন তিনি। তাঁর ভাষ্যমতে, ছোট মেয়েটিকে সাথে নিয়ে খোয়াই নদীর পাড় ধরে হেঁটে এসেছেন! পুলিশ সুপারের বদান্যতায় বড় মেয়েটি এখন ক্লাস এইটে। বাকিরাও পড়ালেখা চালিয়ে যাচ্ছে মনোযোগের সাথে। বিদায় বেলায় জ্যোৎস্না’র প্রতিশ্রুতি, বড় মেয়ে এসএসসিতে ভালো রেজাল্ট করলে দেশের যে প্রান্তেই থাকুন না কেন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা’র সাথে দেখা করবে সে।
এসময় পুলিশ সুপারের কক্ষে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সভাপতি, সাবেক পৌরসভা চেয়ারম্যান শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এবং জেলা আওয়ামীলীগ ও জেলা কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আলমগীর চৌধুরী।