টাঙ্গাইলে ১৩টি অনলাইন পশুর হাট পেইজ খোলা হয়েছে
মো.আবু জুবায়ের উজ্জল (টাঙ্গাইল):
করোনা সংক্রমনরোধে ঈদুল আযাহাকে সামনে রেখে গরু ক্রেতা বিক্রেতাদের কেনাকাটায় সহজ করতে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ১৩টি অনলাইন পশুর হাট পেইজ খোলা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পেইজে খোলা এসব হাটগুলোর মধ্যে জেলার ১২টি উপজেলায় ১২টি এবং জেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে একটি অনলাইন পশুর হাট।
এসব পেইজ থেকে এপযন্ত প্রায় ৪ হাজার পশুর বিবরণসহ ছবি আপলোড করা হয়েছে এবং ১৩২টি কোরবানির পশু বিক্রি হয়েছে।
টাঙ্গাইল জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর থেকে জানা যায় জেলার ১২টি উপজেলায় ছোট-বড় ৬ শতাধিক গরু মোটাতাজা করণের খামার রয়েছে। খামারগুলোতে ৯৫ হাজার ২০০ কোরবানির গরু বিক্রির জন্য প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়াও জেলার কৃষক পর্যায়ে প্রায় ৫০ হাজার পশু মোটাতাজা করে কোরবানির জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সরকারি হিসেবে জেলায় কোরবানির জন্য ৮৪ হাজার ২২০টি(গত দুই বছরের অনুপাতে) পশুর চাহিদা রয়েছে। কিন্তু বেসরকারি হিসেবে এর সংখ্যা প্রায় দেড় লাখ।
আনেহলা ইউনিয়নের খায়েরপাড়া গ্রামের চান মিয়া জানান আমার পরিবারে কোন লোক না থাকায় এবং করোনাভাইরাস ঝুঁকির কারণে কালোমানিককে হাটে তুলতে চান না । ফেসবুকে কয়েকটি ছবি পোস্ট করেছেন। যোগাযোগের নম্বরও দিয়েছেন। ফেসবুকে পেইজ খুলে গরুর ছবি দিয়ে তিনি ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষনের চেষ্টা করছেন। এতে ভালো সাড়াও পেয়েছেন। প্রতিদিন গ্রামের অসংখ্য মানুষ গরুটিকে দেখতে আসেন ।
গরু খামারের মালিক মো. দুলাল হোসেন চকদার জানান, এ বছর কোরবানির জন্য তিনি ১০০টি ষাড় ও বলদ মোটাতাজা করেছেন। এরমধ্যে ৪০টি বলদ ও ৬০টি ষাড় গরু রয়েছে। করোনার কারণে এবার তিনি অনলাইনে গরু বিক্রির উপর জোর দিয়েছেন। ফেসবুকে পেইজ খুলে গরুর ছবি দিয়ে তিনি ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষনের চেষ্টা করছেন। এতে ভালো সাড়াও পেয়েছেন। প্রতিদিনই অনলাইনে লোকজন যোগাযোগ করছেন, পাইকাররাও ফেসবুকে গরুর ছবি দেখে স্বশরীরে খামারে আসছেন। পেইজ খোলার পর ২৬টি ষাড় ও বলদ বিক্রি করেছেন তিনি।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. রানা মিয়া জানান, কঠোর লকডাউনের কারণে হাট-বাজার বন্ধ রয়েছে। কোরবানির পশু বেচাকেনা করতে জেলা প্রশাসন ও প্রাণি সম্পদ দপ্তরের উদ্যোগে একটি এবং জেলার ১২টি উপজেলায় ১২টি মোট ১৩টি ফেসবুক পেইজ খোলা হয়েছে। ওইসব পেইজে খামারী ও সাধারণ কৃষকদের অনলাইনে পশু কেনাবেচার সুযোগ তৈরি হয়েছে। অনেকে এ সুযোগ গ্রহন করছেন। সরকারি নির্দেশনা পেলে পশুর হাট বসানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।