রাজশাহী বিভাগের সর্বোচ্চ আক্রান্ত পাবনায়, মাস্ক না পড়লেই মহাঝুঁকি
রনি ইমরান (পাবনা):
রাজশাহী বিভাগে করোনার হটস্পট হয়ে উঠেছে পাবনা জেলা। জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় ২০৪ জন করোনা ভাইরাসের আক্রান্ত হয়েছেন। রাজশাহী বিভাগের মধ্যে আক্রন্তের সংখ্যা পাবনায় সর্বোচ্চ। সংক্রমণ ছড়িয়ে গেছে পাবনার শহর থেকে গ্রামে। এমতাবস্থায় বাড়ির রাস্তায় বাজারে হাসপাতালে মাস্ক ছাড়া কেউ বের হলে সে সংক্রমণের মহাঝুঁকিতে হয়েছে বলে সর্তক করেছেন স্বাস্হ্য বিশেষজ্ঞরা। বর্তমান সময়ে পাবনার শহরে বা গ্রামে মুখে মাস্ক না পড়লেই সংক্রমণের ঝুকি রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।তারা বলেন, ঘড়ের বাহিরে বা মানুষের মাঝে মাস্ক না পড়ে বের হলেই সে করোনার ভয়াবহ সংক্রমণের স্বিকার হবেন।সংক্রমণ বেড়ে যাওয়া পেছনে মানুষের অসচেতনতা ও উদাসীনতা রয়েছে বলে মনে করেন জেলা স্বাস্হ্যবিভাগ।
ভয়াবহ সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে পাবনার গ্রাম গুলোতেও। কঠোর লকডাউনের ফলে পাবনা শহর প্রায় শূণ্য হলেও গ্রামে বাড়ছে ভীর। মানুষ মাস্কহীন ঘুড়ে সংক্রমণ ছড়িয়ে দিচ্ছে।সেখানে স্বাস্হ্যবিধি বিষয়ে মানুষ উদাসীন রয়েই গেছে। সামাজিক ভাবে নেই কোনো জনসচেতনতা মূলক উদ্যোগ। স্হানীয় জনপ্রতিনিধিরা মানুষদের তেমন সচেতন করছে না বলে জানা যায়। জেলা পুলিশের সদস্যরা সামাজিক সচেতনতায় মাঠে কাজ করছেন। এলাকায় এলকায় তাদের সচেতনতা মূলক কার্যক্রম অব্যাহত আছে।
পাবনা সদরের হেমায়েতপুর ইউনিয়নের বাঙ্গাবাড়িয়া গ্রামে একসাথে গাদাগাদি করে চা খাচ্ছিলেন কয়েকজন। তাদের করো মুখে মাস্ক নেই এবং তারা সামাজিক দূরুত্ব না মেনে বসে ছিলেন। সেখানে খায়রুল ইসলাম( ৫৫)নামের একজন বৃদ্ধ জানায়, আমরা শুনেছি করোনার কথা তবে এ সম্পর্কে যথেষ্ট জানিনা আর আমাদের এলাকার জনপ্রতিনিধিরাও এবিষয়ে আমাদের কিছু জানায়নি। মাঝে মাঝে পুলিশ আসে দোকান বন্ধ করতে বলে ও সচেতন হতে বলে। তিনি আরো বলেন, আমাদের এলাকায় প্রায় ঘড়ে ঘড়ে ঠান্ডা জ্বর তবে করোনা কিনা জানিনা। এবিষয়ে জেলা স্বাস্হ্যবিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, গ্রামে জনসচেতনতা বাড়াতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গ্রামের মানুষ অনেকে অসচেতন তারা স্বাস্হ্যবিধি কম মানে এবং টেস্ট করাতে চায়না।
শহর ও আশপাশের এলাকায় মানুষকে সচেতন করার জন্য পুলিশের সদস্যরা টহল দিচ্ছে করোনার ভয়াবহতা সম্পর্কে বোঝাচ্ছে। তবু পুলিশ চলে গেলেই মানুষ আবার মিলিত হচ্ছে আড্ডাবাজিতে। সংক্রমণ বিস্তারে মানুষের এমন আচরণ কষ্ট দায়ক ও আগামীদিনে মহামারী পরিস্থিতির জন্য উদ্বেগজনক বলছে বিশেষজ্ঞরা। পাবনায় করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। জেলায় দীর্ঘদিনে পিসিআর ল্যাব চালু হয়নি। অল্প সংখ্যক নমুনা সংগ্রহ করে রাজশাহী ও সিরাজগঞ্জে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে। এতে সঠিক সময়ে করোনা রোগী শনাক্ত হচ্ছে না। এতে বাহক অন্যদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে দিচ্ছে। পাবনার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের কোভিড ওর্য়াডে রোগীর স্বজনরা অভিযোগ করছেন সেখানে প্রয়োজনমত চিকিৎসেবা ঠিকমত পাচ্ছেনা। জেলা স্বাস্হ্যবিভাগ সূত্র জানায়, হাসপাতালে পর্যাপ্ত লোকবল না থাকায় সমস্যা হতে পারে তা সূরাহার পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।