South east bank ad

যমুনা নদীর ভাঙ্গনে পাল্টে গেছে চার উপজেলার দৃশ্যপট

 প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

মো.আবু জুবায়ের উজ্জল (টাঙ্গাইল):

যমুনা নদীর ভাঙ্গনে পাল্টে গেছে টাঙ্গাইলে চার উপজেলার দৃশ্যপট । টাঙ্গাইলের চার উপজেলায় রাক্ষুসী যমুনা নদীর থাবায় শতাধিক বাড়িঘর, রাস্তা, হাট ও ফসলি জমি গিলে ফেলেছে। ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জরুরিভাবে ফেলা জিওব্যাগও যমুনার করাল থাবা থামাতে ব্যর্থ হচ্ছে।

জানাযায়, টাঙ্গাইল সদর উপজেলা, কালিহাতী, নাগরপুর ও ভূঞাপুর উপজেলায় বর্ষার শুরুতেই যমুনার ভাঙন শুরু হয়েছে। যমুনায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ার পর গত এক সপ্তাহ ধরে ভাঙন শুরু হলে ভাঙনের তীব্রতা এত বেশী যে গত এক সপ্তাহে শুধুমাত্র সদর উপজেলায় কাকুয়া ইউনিয়নের তিনটি ওয়ার্ডের শতাধিক বাড়িঘর, তাঁত ফ্যাক্টরি, স’মিল ও পৌলি চরের হাট যমুনার গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

কালিহাতী উপজেলার গোহালিয়াবাড়ী ইউনিয়নের আলীপুর, ভৈরববাড়ী। নাগরপুর উপজেলার সলিমাবাদ ইউনিয়নের পাইকশা মাইঝাইল, খাস ঘুণি পাড়া, খাস তেবাড়িয়া, চর সলিমাবাদ, ভূতের মোড়; ভারড়া ইউনিয়নের শাহজানি, ভারড়া, পাঁচতারা, আগদিঘলীয়া। ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের ভালকুটিয়া এলাকায় ভাঙনের তীব্রতা বেশি।

টাঙ্গাইল সদর ও কালিহাতী উপজেলার সীমান্ত এলাকা উত্তর চরপৌলী ও আলীপুর গ্রামের অংশে অসমাপ্ত শেখ হাসিনা সড়ক(নর্দান প্রজেক্ট) রক্ষার জন্য ১০০মিটার এলাকায় ফেলা জিওব্যাগ তলিয়ে গিয়ে ভাঙনে সড়কটির ৫০০-৬০০মিটার নদীগর্ভে চলে গেছে।

পৌলি চরের কবরস্থান পাড়ার আব্দুল গফুর মন্ডল জানান বুধবার(৭ জুলাই) বিকালে হঠাৎ যমুনা বিক্ষুব্ধ হয়ে ৩০মিনিটের মধ্যে ৬০ শতাংশের বাড়িঘর নদীর পেটে চলে গেছে। তারা পাশের হাটে বাজার সদাই করাবস্থায় চিৎকার-চেচাঁমেচি শুনে দৌঁড়ে এসে দেখেন তাদের বাড়িঘর নেই। মুহুর্তের মধ্যে যমুনা গ্রাস করে নিয়েছে।

কাকুয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ জানান গত ৩-৪দিনের ভাঙনে ইউনিয়নের সবচেয়ে বড় গ্রাম চরপৌলীর বহু স্থাপনা ও বাড়িঘর যমুনা গিলে খেয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙনরোধে জিওব্যাগ ফেললেও তা কোন কাজে আসছে না। তিনি আর ও বলেন আমাদের দাবী সরকারের কাছে বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে মাহমুদ নগর ইউনিয়নের গোলচত্তর পর্যন্ত স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের ।

টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম জানান, টাঙ্গাইলের চরাঞ্চলের বিশাল এলাকা প্রতিবছরই যমুনার ভাঙনের শিকার হয়। এ ভাঙনরোধে তিন বছর আগে একটি স্থায়ী বাঁধের প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। দীর্ঘ তিন বছরেও প্রকল্পটি অনুমোদন না হওয়ায় কাজ করা সম্ভব হচ্ছেনা। জরুরি ব্যবস্থা হিসেবে জিওব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: