টাঙ্গাইলে ৪৯ জন ডাক্তার নার্স করোনায় আক্রান্ত
মো.আবু জুবায়ের উজ্জল (টাঙ্গাইল):
টাঙ্গাইলে করোনাভাইরাস দিনদিন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কসহ ১০ জন ডাক্তার ও ৩৯ জন নার্স আক্রান্ত। জেলার করোনা আক্রান্ত রোগীদের প্রায় শতভাগই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত এছাড়া জেলার নতুন করে ২৯০ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে । এপর্যন্ত জেলায় মোট মৃত্যু হয়েছে ১৫০ জন। আর করোনা রোগীর সংখ্যা দাড়িয়েছে ৯ হাজার ৮ শত ৬৫ জন । সুস্থ হয়েছে ৫১৯৮ জন ।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা.খন্দকার সাদিকুর রহমান নিজেই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন আমি বৃহস্প্রতিবার দুপুরে নমুনা দিয়েছিলাম পরে আমার নমুনা পরীক্ষা পজিটিভ এসেছে । আমি ছাড়াও হাসপাতালে ১০ জন ডাক্তার ৩৯ জন নার্স করোনা পজিটিভ হয়েছে তিনি আর ও বলেন শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজে ২০০ চিকিৎসক থাকলেও করোনা ইউনিটে ২১ জনসহ ৩৯ জন হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করছে বাকি চিকিৎসকরা করোনার দুর্যোগের সময়ে টাঙ্গাইলে অবস্থান না করে ঢাকাসহ যার যার নিজ বাড়িতে অবস্থান করছে।
জেলার একমাত্র করোনা চিকিৎসা কেন্দ্র টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল সেখানে দুটি ওয়ার্ডে কোভিড রোগীদের চিকিৎসা হয় । এতে অন্য রোগীরা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে । স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে টাঙ্গাইলের শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের দুটি ফ্লোরে অতিরিক্ত রোগীর সেবা চালু বিষয়ে চিঠি দেওয়া হলেও এখনো পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি ।
গত বছর করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ট্রমা সেন্টার ভবনে ৫০ শয্যার একটি করোনা ডেডিকেটেড ওয়ার্ড চালু করা হয়। এখন এই ওয়ার্ডটিতে করোনা সন্দেহভাজন রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
করোনায় আক্রান্ত রোগীদের জন্য জেনারেল হাসপাতালের দুটি ওয়ার্ডকে করোনা ডেডিকেটেড ওয়ার্ড করা হয়েছে। সেখানে ৫৬টি শয্যা রয়েছে। এছাড়াও নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ১০টি শয্যা রয়েছে।
এবিষয় সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খান জানান করোনার এ দুর্যোগের সময় জীবন বাজি রেখে ডাক্তার নার্সরা দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন । এতে ডাক্তার ও নার্সরা ও আক্রান্ত হচ্ছেন । চিকিৎসক সংকট হবে না শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সব ডাক্তার দুর্যোগের সময় দায়িত্ব পালন করলে চিকিৎসক সংকট কেটে যাবে । তিনি আর ও জানান ঢাকা থেকে চিৎকসক চাওয়া হয়েছে খুব দ্রত পেয়ে যাবো ।
তাছাড়া টাঙ্গাইলের রোগীদের প্রায় শতভাগই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট আক্রান্ত আইসিসিডিডিআরের ল্যাবে পরীক্ষা করে এ তথ্যই মিলেছে ।
টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি বলেন, জেলার করোনাকালীন দুর্যোগের সময় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির কাছ থেকে হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলাসহ বিভিন্ন চিকিৎসা উপকরণ সংগ্রহ করে হাসপাতালে দেয়া হয়েছে । যাতে চিকিৎসা উপকরণের জন্য করোনা রোগীদের সেবা পেতে ব্যত্যয় না ঘটে ।