শিরোনাম

South east bank ad

গ্রামে ঘরে ঘরে জ্বর:নমুনা দিলেই পজিটিভ আসছে

 প্রকাশ: ০৬ জুলাই ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

মো.আবু জুবায়ের উজ্জল (টাঙ্গাইল):

টাঙ্গাইলে প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলে ঘরে ঘরে জ্বরে আক্রান্ত । এদিকে হাসপাতালে রোগির সংখ্যা ও বাড়ছে। নমুনা দিলেই তাদের পজিটিভ আসছে। এতে গ্রাম পর্যায়ে সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। জেলায় সামাজিক সংক্রমণ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন।

সরেজমিনে জানাযায় হুগড়া ইউনিয়নে মালতিপাড়া,চরহুগড়া,বেগুনটাল,কাশিনগর,কাকুয়া,ইউনিয়নে রাঙ্গাচিড়া,দেলদা,মইসা ওমরপুর দ্যাইনা ইউনিয়নের বিন্যাফৗর,চারাবাড়ী,গোয়ালপাড়া বাষিল ইউনিয়নের চাকতা গ্রামের মানুষ জ¦র ঠান্ডায় ভুগতেছে । হুগড়া গ্রামের নজরুল মুন্সীর সাথে কথা হলে তিনি জানান করোনা কিছুনা ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন ওযু করেন করোনা থাকবে না । আমার বাড়ীর সকল সদস্যদের জ¦র হয়েছিল সবাই ভাল হয়েছে । ভয়ের কিছু নাই এটা জ¦র ঠান্ডার মৌসুম প্রতি বছর এগুলো আসে আবার আল্লাহর রহমতে চলে যায় ।

কাকুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন আমার ইউনিয়নটি একেবারে যমুনা নদীর ধারে প্রতন্ত গ্রাম অন্বল । এখানকার মানুষ একষোরামী । তারা আগের যুগের দোহায় দিয়ে চলে । স্বাস্থ্য বিধি না মেনে ,মাস্ক না পড়ে অবাধে চলাচল করে । এক্ষন গ্রামের মানুষ বেশী সংখ্যায় করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে ।

হুগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যা মো. তোফাজ্জল হোসেন খান তোফা জানান আামার ইউনিয়নে প্রায় বাড়ীতে জ¦র ঠান্ডা। আমি মসজিদের ঈমামসহ প্রচারনার জায়গায় জনসচেতন করার চেষ্টা করছি তা না হলে করোনা পরিস্থিতি আর ও অবনতি হওয়ার আশস্ক রয়েছে ।

এদিকে টাঙ্গাইলে গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪১৩ জন। এ ছাড়াও আরো সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এবং জেলা স্বাস্থ্যবিভাগ সূত্র জানায়, সোমবার সকাল ৬ টা হতে মঙ্গলবার সকাল ৬ টা পর্যন্ত ৭১৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৪১৩ জন আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়। আক্রান্তের হার ৫৭ দশমিক ৯২ শতাংশ। জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৯ হাজার ৪৪ জন। গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পাঁচজন ও উপসর্গ নিয়ে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। জেলায় মোট মৃুত্যু ১৩৫ জন।

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের উপ-পরিচালক খন্দকার সাদিকুর রহমান জানান, হাসপাতালে দিন দিন করোনা রোগি সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আক্রান্ত ব্যক্তিরা শেষ মুহুর্তে হাসপাতালে আসছে। অনেক রোগির অক্সিজেনের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক নিচে থাকে। হাসপাতালে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সকলকে স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারি নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি।

টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন বলেন, বেশ কিছু দিন যাবত টাঙ্গাইলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। গত এক সপ্তাহ যাবত উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে টাঙ্গাইল জেলা। সামাজিক সংক্রমণ শুরু হয়েছে। উপজেলা ভিত্তিক প্রায় সব ঘরেই জ্বরের রোগি রয়েছে। জ্বরকে আমরা করোনার উপসর্গ হিসেবেই নিচ্ছি। করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিকল্প নেই।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: