করোনারোগী ও চিকিৎসকদের সুরক্ষায় সহায়তা করার আশ্বাস: কাজী ইরাদত আলীর
খন্দকার রবিউল ইসলাম (রাজবাড়ী): রাজবাড়ীতে করোনা পরিস্থির দিন দিন বেড়েই চলছে। সংকট দেখা দিয়েছে করোনা রোগির রাখার জন্য আইসোলিশনের। গত কয়েকদিনের ফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে রাজবাড়ীতে করোনায় শনাক্তের হার ৭০শতাংশ। এরই মধ্যে ৪৮ঘন্টায় রাজবাড়ীতে তিনজন মারা গেছেন। শনাক্তের হার হ্রাস করতে বিধি- নিষেধ মানা ছাড়া আমাদের কোন বিকল্প কোন রাস্তা খোলা নেই।
এই করোনাকালীন সময়ে মানুষের দুসময়ে এগিয়ে এসেছেন রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী। জানা গেছে ইতো মধ্যে তিনি রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের করোনা রোগীর সম্পল সংগ্রহকারী ২জন স্বোচ্ছা সেবক, কালুখালি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর স্বেচ্ছা সেবক ও পরিছন্নকর্মী সহ ১০জন সহ মোট ১২জনের সম্মানী দেওয়ার দায়ীত্ব নিয়েছেন জানিয়েছেন।
রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর সভাপতি কাজী ইরাদত আলী বলেছেন এই মহামারী করোনাকালীন সংকটের মধ্যে যাতে স্বাস্থ্য সেবায় কোন ভাবে রাজবাড়ীবাসীকে সমস্যায় পরতে না হয় সে কারনে তিনি রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক, সিভিল সার্জন, হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সহ গুরুত্বপূর্ণ দায়ীত্বে থাকা সকলের সাথে কথা বলেছেন। এবং সকল প্রকার সহায়তা করবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যদি ৫শত বেড তৈরি করে আমিই সকল সরঞ্জাম সহ রোগীদের খাবারের ব্যবস্থাও করে দিব। গত বছর যেমন তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অধীনে যুব উন্নয়নে ১হাজার বেডের আইসোলিশন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। তিনি ৫০০বেডের সকল সরঞ্জাম দেওয়ার দায়িত্ব নিয়েছিলেন। সে খানে প্রাথমিক ভাবে ২শত বেডের সকল সরঞ্জাম দিয়েছিলেন। এবারও তিনি ৫০০আইসোলিশন বেডের জন্য যা প্রয়োজন দিবেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নিলেই। তিনি চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং ৫০০শত রোগীর খাওয়ার খরচও বহন করবেন। গতবছর করোনাকালীন সময়ে বাজারে গুরুত্বপূর্ণ স্থান গুলোতে ১৮টিমাইক দিয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি র লক্ষ্যে প্রচার প্রচারণা চালিয়েছেন। এবারও চেম্বার অব কর্ম কামার্স এর পক্ষ থেকে বাজারে মাইক দিয়ে সার্বক্ষণিক জনসচেতনতা বৃদ্ধি র লক্ষ্যে প্রচার প্রচারণা চালিয়েছেন।
রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের তত্বাবংধায়ক দিপক কুমার জানান, রাজাবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী সাহেব আমাকে ফোন করে বলেছেন বর্তমান সংকট কালীন সময়ে হাসপাতালের জন্য যে কোন কিছুর প্রয়োজন হলে তিনি সাপট দিবেন। তবে আমাদের বর্তমানে বেড সংকট রয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে তার সাথে সব বিষয় নিয়ে কথা বলবো। তিনি আরো বলেন, আগে আমাদের ২০টি বেড ছিল করোনা রোগীদের জন্য। করোনার রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ৩০টি বেড বাড়ানো হয়েছে। সর্বমোট আমাদের বেড রয়েছে মাত্র ৫০টি যা প্রয়োজনের তুলোনায় খুবই কম। ৫০টি বেডেই রোগী ভর্তি আছে। যে ভাবে করোনা বাড়ছে আমাদের আরো বেড বাড়াতে হবে। আমরা সবচে বেসি সমস্যায় আছি সে টি হলো ডাক্তার, নার্স ও পরিছন্নতা কর্মীর সংকট। রাজবাড়ীতে এক ডাক্তার শামিম হাসান কে দিয়ে হাসপাতাল চালানো খুবই কঠিন হয়ে পরেছে। তিনি একা আর কত সামাল দিবে। আমাদের আরো চিকিৎসক প্রয়োজন।
সিভিল সার্জন ডা. ইব্রাহিম টিটন বলেন, কঠোরভাবে লকডাউন মেনে চলা ছাড়া আমাদের সামনে বিকল্প কোন রাস্তা খোলা নেই। প্রতিদিন মৃত্যু হচ্ছে। লকডাউন না মানলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে যাবে। তিনি আরো বলেন, আমাদের এই কঠিন সময়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী সাহেব ফোন করে বলেছেন, আমাদের রাজবাড়ীবাসীকে স্বাস্থ্য সেবা দিতে যে কোন বিষয়ে তিনি সহযোগিতা করবেন। তিনি আরো বলেছিলেন যে হাসপাতালে করোনা রোগীর সেম্পল নেওয়া ও টিকা দেওয়ার স্থান পাশাপাশি ছিল। তিনি সেটাকে সরিয়ে নিতে বলেছেন। আমরা বর্তমানে করোনা রোগীকের সেম্পল নেওয়ার স্থান পরিবর্তন করেছি। আমাদের লোকবল সংকট রয়েছে। যে কারনে আমারা দুজন স্বেচ্ছাসেবক নিয়েছি। স্বেচ্ছা সেবকদের সম্মানি দেওয়ার জন্য কাজী ইরাদত আলী সাহেবকে বলেছিলাম। তিনি সম্মানি দেওয়ার জন্য রাজি হয়েছেন। এছাড়াও তিনি সার্বিক সহযোগিতা করবেন বলে জানিয়েছেন।
জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম জানিয়েছেন প্রতিদিনই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই যাচ্ছে। পরিস্থিতি খুবই খারাপের দিকে যাচ্ছে। যে কারনে স্বাস্থ্য বিধি ও সরকারের নির্দেশনা মেনে সবাইকে চলা উচ্চিৎ। এবিষয়ে তিনি প্রতিনিয়ত সিভিল সার্জনের সাথে কথা বলছেন। তিনি আরো বলেন, কাজী ইরাদত সাহেব আমাকে ফোন করেছিলেন কতা হয়েছে তার সাথে। তিনি সার্বিক ভাবে সহযোগিতা করতে চেয়েছেন। তিনি বলেছন করোনা রোগী ও চিকিৎসকদের সুরক্ষা সামগ্রীসহ যা যা প্রয়োজন তিনি সাপট দিবেন। জেলা প্রশাসক বলেন, রাজবাড়ীতে ৫উপজেলায় মোট-১৪২টি বেড আছে। প্রয়োজন হলে আরো বেড বাড়ানো হবে।