লকডাউনের ছোঁয়া লাগেনি পঞ্চগড়ের হাটবাজারে
মোঃ লিহাজ উদ্দিন (পঞ্চগড়) :
সারাদেশে কঠোর লকডাউন চললেও এর ছিঁটেফোঁটা ছোঁয়া লাগেনি পঞ্চগড়ের হাটবাজার গুলোতে। এসব বাজারে সকাল বেলা তেমন লোক সমাগম না হলেও দুপুর গড়িয়ে বিকাল হতে না হতে প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে জড়ো হতে থাকে হাজারে মানুষ। কেউ কেউ সংসারের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয় করতে আসলেও অনেকে আসেন চা-পান ও আড্ডা দিতে। জেলার সীমান্তবর্তী প্রায় সকল গ্রামীণ হাটবাজারের চিত্র একই। সদর উপজেলার হাড়িভাসসা, চাকলাহাট, ফুটকিবাড়ী, বজরা পাড়া নতুন হাট, ঝলই হাট । তেঁতুলিয়ার শালবাহান ,তীরনই হাট। বোদা উপজলোর পাঁচপীর, নতুন হাট। দেবীগঞ্জের কালীগঞ্জ, ভাউলাগঞ্জ,শালডাঙ্গা, টেপ্রীগঞ্জ, রামগঞ্জবিলাসি, আটোয়ারী উপজেলার ধামোর হাট,সোনাপাতিলা নতুন হাট, ডুংডুংগি হাট। এই সব হাট বাজারের ক্রেতা বিক্রেতা কারোর মাঝে স্বাস্থ্য বিধির বালাই নাই।লোকজন গাদাগাদি করে কেনাকাটা সহ চা'য়ের দোকানে বসে আড্ডা দিচ্ছে। অনেকে স্বাস্থ্যবিধি তোয়াক্কা না করে মুখে মাস্ক পর্যন্ত দেয় না। পঞ্চগড় সদর উপজেলার ফুটকিবাড়ী হাটের মরিচ ব্যবসায়ী বাবলু বলেন, মুখে মাস্ক লাগেনা,আমরা যে ব্যবসা(শুকনা মরিচ) করি তাতে করোনা আসতে পারবেনা। মরিচের ঝাঁঝালো ঘ্রাণে ভাইরাসটা দুরে থাকবে। বাজার গুলোতে ঘুরে দেখা গেছে বেশির ভাগ মানুষের মুখে মাস্ক নাই। দু'চার জনের যা আছে তা আবার থুতলির নিচে। সবজি ক্রেতা রবিউল বলেন, আমরা গ্রামের লোকজন মাস্ক পড়িনা। দুধ বিক্রেতা কামাল হোসেন মাস্ক ও লকডাউন বিষয়ে বলেন,এগুলো শহরের জন্য, গাঁ গেরামত এইলা চলেনা। আটোয়ারীর ধামোর হাট বাজারের পান দোকানদার তরিকুল বলেন,পুলিশ আসলে লোকজন দৌঁড়ে পালায়,আবার পুলিশ চলে গেলে বাজরে ভীর জমায়। সদর উপজেলার গড়িনাবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আলতামাস হুসাইন লেলিন বলেন, একাধারে তিনদিন এলাকায় মাইকিং করিয়েছি মানুষকে সচেতন করার জন্য গ্রামে গ্রামে ঘুরে নিজেও প্রচারে নেমেছি। পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক মোঃ জহুরুল ইসলাম বলেন,জেলায় লকডাউন সফল করতে যাবতীয় প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। আইনশৃংখলা বাহিনীকে সাথে নিয়ে চারজন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটগণ সহ উপজেলা নির্বাহী গণ মাঠে কাজ করছেন।