শিরোনাম

South east bank ad

মাদারীপুরে করোনা সংক্রমণ ৩ হাজার ছাড়াল

 প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

এসএম আরাফাত হাসান (মাদারীপুর) :
মাদারীপুর জেলায় গত এক সপ্তাহ ধরে করোনা সংক্রমণের হার বেড়েই চলেছে। গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ৪২ জন। এ নিয়ে জেলায় কোভিড-১৯-এ সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা তিন হাজার ছাড়াল। এই পর্যন্ত মারা গেছেন ৩৫ জন। শুক্রবার সন্ধ্যায় মাদারীপুরের সিভিল সার্জন মো. সফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সূত্র জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় ও আরটিপিসিআর থেকে ৯৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে কোভিড-১৯-এ শনাক্ত হয় ৪২ জন। রাজৈর উপজেলায় ১৩ জন ও কালকিনি উপজেলায় সংক্রমিত হয়েছেন ১৩ জন। এ ছাড়াও সদর ৯ জন ও শিবচর উপজেলায় আক্রান্ত হয়েছে ৭ জন। নতুন করে করোনায় মারা গেছেন একজন। তার বাড়ি কালকিনি উপজেলায়। শনাক্তের হার গতকালের তুলনায় দ্বিগুন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২ দশমিক ৮৫ শতাংশ।
স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, নতুন সংক্রমিত হওয়ার রোগীদের মধ্যে আক্রান্ত বেশি রাজৈর ও কালকিনি উপজেলায়। কালকিনি বরিশালের পাশ^বর্তী ও রাজৈর গোপালগঞ্জের পাশ^বর্তী হওয়ায় সংক্রমণ এই দুই উপজেলায় বেড়েছে। একই সঙ্গে দুই উপজেলাতেই বেড়েছে মৃত্যু।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পরিসংখ্যানবিদ মীর রিয়াজ আহমেদ জানান, বর্তমানে চারটি উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত সদর উপজেলায়। সদরে এই পর্যন্ত ১ হাজার ৩৫৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এরপরেই রাজৈর উপজেলায় সংক্রমিত হয়েছে ৭৭৩ জন, কালকিনি উপজেলায় ৪৫১ ও শিবচর উপজেলায় সংক্রমিত হয়েছেন ৪২৯ জন। এরমধ্যে ২ হাজার ৪০৪ জনই করোনা জয় করে সুস্থ্য হয়েছেন। জেলায় এই পর্যন্ত র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় ও আরটিপিসিআর থেকে ২১ হাজার ৮৩০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। বর্তমানে করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন ৫৬৯ জন। এর মধ্যে মাত্র ১৩ জন হাসপাতাল আইসোলেশন সেন্টার ও ৫৫৬ জন হোম আইসোলেশনে থেকেই চিকিৎসা সেবা নিচ্ছে।
এদিকে মাদারীপুর জেলা কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে আইসিইউ সুবিধা না থাকায় রোগীদের নানা ধরণের সমস্যায় মুখোমুখি হতে হচ্ছে। জটিল রোগীদের চিকিৎসা জন্য পাঠানো হচ্ছে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ বা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। তবে ফরিদপুর ও ঢাকা মেডিকেলে আইসিইউ শয্যা বেশির ভাগ সময় খালি না থাকায় রোগীদের নানা সমস্যায় পড়তে হয়। আইসিইউ অভাবে মারাও যাচ্ছে অনেকে।
জানতে চাইলে জেলার সিভিল সার্জন মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সংক্রমণ ঠেকাতে আমরা চেষ্টা করছি। তবে এখন যে সমস্যা হচ্ছে তা আমাদের প্রত্যাশার বাহিরে। সংক্রমণ ঠেকাতে মানুষের যেভাবে সচেতন হওয়ার দরকার তা হচ্ছে না। মানুষের কাছ থেকে সেই পরিমান সারাও পাচ্ছি না আমরা। আর সংক্রমণ বাড়ছে তাই মৃত্যুও বাড়ছে। আর আইসিইউ চাইলেই তো আর চালু করা সম্ভভ না। আমাদের ম্যান পাওয়ার (লোকবল) দরকার। আমরা লোকবলসহ নানা বিষয়ের উপর চাহিদাপত্র স্বাস্থ্যের ডিজির কাছে পাঠানো। এগুলো সরবারহ পেলেই আইসিইউ শয্যা চালু করা সম্ভব।’
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত তিন ব্যক্তি শনাক্ত হয়। এর মধ্যে মাদারীপুর জেলার ছিল একজন। এ কারণে দেশের প্রথম লকডাউন কার্যকর করা হয় মাদারীপুরের শিবচর উপজেলাকে।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: