পাবনায় শহর শূন্য, গ্রামে করোনার চাষাবাদ
রনি ইমরান (পাবনা) : লকডাউনে পাবনা শহর প্রায় জনশূন্য হলেও গ্রামে চলছে করোনার চাষাবাদ। গ্রামের বেশীরভাগ মানুষই সচেতন নয় এবং স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরুত্বে তাদের অনীহা বেশ লক্ষণীয়। পাবনা শহরের আশেপাশে গ্রামগুলোতে ছোট বড় কয়েকটি ঔষুধের দোকানে খোঁজ নিয়ে জানা যায় সেখানে সাম্প্রতিক সময়ে সর্দিকাশি, জ্বরের ঔষুধের চাহিদা প্রচুর বেড়ে গেছে। পাবনা শহরের পাশেই হিমায়েতপুর ইউনিয়ন দোকানে একসাথে গাদাগাদি করে চা খাচ্ছিলেন কয়েকজন গ্রামবাসী। তাদের কারো মুখে মাস্ক ছিলনা। করোনা বিষয়ে তাদের ধারনা হলো এই অসুখটি তাদের কিছুই করতে পারবেনা। কেউ বলছে, আমরা সারাদিন পরিশ্রম করি, শরীর খেটে খেয়ে জীবিকা নির্বাহ করি করোনা আমাদের হবেনা। এটা বড়লোক বা খারাপ মানুষের হয়। স্হানীয় বাসিন্দা মজনু মিয়া বলেন, এসব সর্দি জ্বর প্রতি বছরই হয় এটা তেমন কিছু নয়। গ্রামে নিশ্চিত হচ্ছেনা সামাজিক দূরুত্ব বেশিরভাগ মানুষই মানছেনা স্বাস্হ্যবিধি। বিশেষজ্ঞরা
এই বিষয়টি নিয়ে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন তাদের অজ্ঞতায় করোনা পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে পাবনায়। জেলা স্বাস্হ্যবিভাগ থেকে জানা গেছে, তাদের সচেতন করতে ইতোমধ্যে সামাজিক ভাবে সচেতন করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় পাবনায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ১৯২ জন বলে জানিয়েছেন,জেলা স্বাস্হ্যবিভাগ সূত্র।জেলায় আক্রান্তদের মধ্যে সবচেয়ে বেশী আক্রান্ত
ঈশ্বরদীতে ১৪৪ জন, পাবনা সদরে ৭ জন,আটঘরিয়া ৫ জন, চাটমোহর ৪ জন,ভাঙ্গুড়ায় ৬ জন,ফরিদপুরে ৪ জন, সাথিয়ায় ৮ জন,বেড়ায় ৫ জন,সুজানগরে ৯ জন রয়েছে। পাবনায় একদিনের আক্রান্তের হিসেবে যা সর্বোচ্চ। ক্রমাগত নতুন আক্রান্তের রের্কড আর সংক্রমণ বৃদ্ধিতে উদ্বেগ জানিয়েছেন জেলা স্বাস্থ্যবিভাগ। মানুষ যত বেশী অসচেতন হবে আক্রান্তের সংখ্যা ততোই বাড়বে বলে সর্তক করে দিয়েছেন জেলা স্বাস্হ্যবিভাগ। সংক্রমণের হার কমাতে মূলত কমাতে লকডাউন দিয়েছে সরকার তাই অযথা বাহিরে ঘোরাঘুরি গেদারিং আড্ডা না দেওয়া প্রতি আহবান জানিয়েছে জেলা স্বাস্হ্যবিভাগ। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পাবনায় লকডাউন কার্যকরে দায়িত্ব পালন করছে পাবনা জেলা পুলিশ।পাবনা শহরে ভোর থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিতে ভিজে তাদের দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়। পাবনা জেলা পুলিশ থেকে সকলকে স্বাস্হ্যবিধি মেনে চলতে বলা হয়েছে। পাবনার হাসপাতালগুলাতে কোভিড রোগীদের ভীর বাড়ছে।জেলার প্রতিটি উপজেলায় কোভিড রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। রোগী এতোটায় বেড়ে গেছে সেতুলনায় শয্যা সংখ্যা সীমিত। বেশীরভাগ করোনা পজেটিভ রোগী বাসায় চিকিসেবা নিচ্ছেন।