পাবনায় পাবিপ্রবির ভিসি সহ আক্রান্ত ৮৫, উপসর্গ নিয়ে নারী সাংবাদিকের মৃত্যু
রনি ইমরান (পাবনা):
গত ২৪ ঘন্টায় পাবনায় নতুন করে ৮৫ জন কোভিডে আক্রান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন, জেলা স্বাস্থ্যবিভাগ। কোভিডের উপসর্গ নিয়ে রবিবার রাতে মারা গেছেন পাবানা থেকে প্রকাশিত দৈনিক স্বতঃ কন্ঠের বার্তা সম্পাদক নারী সাংবাদিক নাসরিন মাহমুদা। পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ রুস্তম আলী সহ নতুন আক্রান্তের হারও বাড়ছে। শতকরা ২০ ভাগের কাছাকাছি। বলে জানিয়েছেন, জেলা স্বাস্থ্যবিভাগ। জেলায় মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ১৯৫ জন। গত এক সপ্তাহে আক্রান্তের দিক দিয়ে ৭ শত জন ছাড়িয়ে গেছে রোগীর সংখ্যা । দিন যতই বাড়ছে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠছে পাবনায়। লকডাউনের প্রথম দিনে শহর ফাকা থাকলেও গ্রামে গ্রামে মানুষের জনসমাগম আগের মতই আছে। সেখানে স্বাস্হ্যবিধি সম্পর্কে অনেকে অসচেতন।
জেলা স্বাস্থ্যবিভাগ ধারনা করছে, নতুন ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ক্রমাগত সংক্রামিত করে চলছে পাবনায়। করোনা পরিস্থিতি যখন খারাপের দিকে যাচ্ছে তখন মানুষের স্বাস্হ্যবিধি মানাটা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। পাবনা জেলা পুলিশ করোনা সচেতনতায় মাঠে নেমেছে, নিরসল কাজ করে যাচ্ছে। জেলা পুলিশ থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে আহবান করা হচ্ছে। মাস্ক বিতরণ ও স্বাস্থ্যবিধিগুলো মানতে উৎসাহীত করছে তারা। পাবনা সদর হাসপাতালে কোভিড ওর্য়াডের চিকিৎসকদের প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সামগ্রী অপ্রতুল উন্নত পারসোনাল ইকুউপমেন্ট( পিপিই) তারা পাচ্ছেনা তবুও যা আছে তা দিয়ে কোভিড রোগীদের সেবা করে যাচ্ছেন। পরিস্থিতি আরো জঠিল হলে তাদের পক্ষে সেবাদান দেওয়া সাধ্যের বাহিরে চলে যাবে। জেলা স্বাস্থ্যবিভাগ বিভাগ বলছে, সামাজিক ভাবে সচেতনতা বাড়াতে হবে। শহর থেকে গ্রামে মসজিদে মসজিদে মাস্ক পড়া ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য মাইকিং করা হবে। কিন্তু কবে থেকে শুরু হবে জানা যায়নি। এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডাঃরাম দুলাল ভৌমিক তিনি মনে করেন, সামাজিক ভাবে সচেতনতা মূলক জাগরণ দরকার ছিল। মানুষকে নিজেরই তা মানতে হবে কেউ বলে কয়ে তাকে মানাতে পারবেনা। তবে সরকারের দেওয়া লকডাউন সর্মথন করে তিনি বলেন, এতে মানুষের সীমিত সমস্যা হলেও কোভিড অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসবে। তিনি আরো বলেন সরকার যে লকডাউন দিবে তা মানুষের জনস্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করেই।
বর্তমানে মাত্র ৩৬ জন কোভিড- ১৯ রোগী পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন। তবে মোট সনাক্তের বেশীরভাগ মানুষ বাসায় থেকে, চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন বলে জানা যায়। সপ্তাহ ধরে যেভাবে রোগীর সংখ্যা বেড়ে চলেছে সেতুলনায় রোগীদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত হচ্ছেনা। পাবনায় এখনো পিসিআর ল্যাব স্হাপন হয়নি নমুনা পরিক্ষা করাতে দিয়ে রেজাল্ট আসতে দেরি হওয়ায় বাহক সংক্রমণ ছড়িয়ে দিচ্ছে। হাসপাতালে অক্সিজেন, আইসিইউ, ভেন্টিলেটর জরুরী চিকিৎসা সেবা পাওয়ার জন্য দীর্ঘসময় ধরে মানুষ রাস্তায় মনববন্ধনের দাঁড়ালেও এখনো মেলেনি সেসকল কাঙ্ক্ষিত সেবা।
একমাস আগে ২৫০ শয্যার পাবনা জেনারেল হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্ট চালু হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। হাসপাতাল সূত্র থেকে জানায় এ সকল সেবা চালু হতে আরো কয়েকদিন সময় লাগবে।