শিরোনাম

South east bank ad

ঝালকাঠির পল্লীর বাজারের ভবনে মৌমাছির বাসা

 প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

রাজু খান (ঝালকাঠি) : মৌমাছি, মৌমাছি কোথা যাও নাচি নাচি দাঁড়াও না একবার ভাই। ওই ফুল ফোটে বনে যাই মধু আহরণে দাঁড়াবার সময় তো নাই। - নবকৃষ্ণ ভট্টাচার্যের লেখা কাজের লোক কবিতায় মৌমাছিকে ব্যস্ত প্রাণি হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। তাদের দাঁড়াবার সময় নেই। দল বেঁধে ফুল থেকে মধু আহরণ করে জমাচ্ছে মৌচাকে। তবে এ চাক কোনো বন-জঙ্গলে নয়, লোকালয়ে। বাজারের মধ্যে একটি ভবনের ছাদের সামনের বাড়তি অংশে। এমন দৃশ্য চোখে পড়বে ঝালকাঠি সদর উপজেলার কির্ত্তিপাশা ইউনিয়নের ভাসমান পেয়ারার হাট তীরের বাজার ভীমরুলীতে। ভীমরুলী বাজারের স্কুল সংলগ্ন সরস্বতী প্লাজায় আস্থা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সামনে। এলাকার চারপাশ থেকে বিভিন্ন ফুলের মধু সংগ্রহ করে চাক তৈরি করেছে মৌমাছির দল। ভবনের সামনে মৌমাছি চাক বানিয়ে অবস্থান করায় নজর কাড়ছে এলাকাবাসীর। আশপাশের লোকজন প্রতিদিন ভিড় করে মৌমাছি দেখতে। স্থানীয় স্বপন মিস্ত্রি জানান, মৌমাছি নিজেরাই এ দালানে চাক বানিয়ে বাসা বেঁধেছে আড়াই মাস আগে। এলাকার ও পরিবারের কেউ মৌমাছিগুলোকে বিরক্ত করে না আর মৌমাছিরাও তাদের আক্রমণ করে না। মৌচাক থেকে প্রথমবারে প্রায় ১কেজির মতো মধু সংগ্রহ করেন বাড়ির মালিক। পরেরবার আধা কেজি সংগ্রহ করতে পারেন। নিজে কিছু রেখে বাকিটা দেন প্রতিবেশিদের।
স্বপন মিস্ত্রি মৌচাকে মৌমাছিদের অবস্থান দেখিয়ে বলেন, যে মৌ পোকাগুলো বেশি নড়াচড়া করে সেগুলো পুরুষ এবং কর্মঠো। এরাই বাহির থেকে মধু সংগ্রহ করে আনে। এখন বর্ষা মৌসুম। ফুলের সমারোহ কম থাকায় চাকে মধুও জমে কম। এখন শুধু পেয়ারা ও বর্ষা কালীন সবজির ফুল আছে। সেসব ফুলে সমানহারে মধু থাকে না। বেশি মধু থাকে সরিষা ফুলে। মৌমাছির মধ্যে মধু সংগ্রহকারী পুরুষ মধুশ্রমিকরা যা আহরণ করে চাকে আনে তা আবার নারী ও অলস মৌমাছি খেয়ে থাকে। কিছু নারী মৌমাছি আছে যারা বংশ বিস্তার করে।
মৌমাছি সম্পর্কে ঝালকাঠি সরকারী কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জেবুন্নেছা বলেন, পরিশ্রমী আদর্শ প্রাণি হিসেবে এদের সহজে আলাদা করা যায়। কারণ এরা নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে ও সুশৃঙ্খলার মধ্যে আবদ্ধ। পৃথিবীতে হাজারো প্রজাতির মৌমাছি আছে। এদের মধ্যে এপিস সেরানা নামের মৌমাছি এ দেশের গ্রামে-গঞ্জে দেখা যায়। এরা সাধারণত গাছের গর্তে, বাসা, দালানের কার্নিশ, সানশেড, ইটের স্তুপ ও মাটির গর্তে বাসা বাঁধে। প্রতি চাকে একটি রাণী, শতাধিক পুরুষ মৌমাছি থাকে। এদের নেতৃত্বে আরও ২৫-৩০ হাজার সৈনিক মৌমাছি মিলে দলবদ্ধভাবে বসবাস করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: