প্রশাসনের তৎপরতা না থাকায় লকডাউনের ৩য় দিনে মুন্সিগঞ্জে স্বাভাবিক সময়ের মতোই চলছে যানবাহন, খোলা হয়েছে সকল ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান
কায়সার সামির (মুন্সিগঞ্জ):
দেশ জুড়ে করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত লকডাউনের ৩য় দিনে মুন্সিগঞ্জে স্বাভাবিক সময়ের মতোই বৃহস্পতিবার সকাল থেকে চলাচল করছে সকল ধরনের যানবাহন। তবে বন্ধ রয়েছে এ জেলার দূরপাল্লার বাস চলাচল। এছাড়াও সকাল থেকে শহরের বিভিন্ন স্থানে খোলা রয়েছে সকল ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সহ মার্কেট শপিং মল ও বিপণিবিতানগুলো।
করোনা সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা এই জেলায় অধিকাংশ মানুষকে মানতে দেখা যায়নি স্বাস্থ্যবিধি। স্বাভাবিক সময়ের মতো হাট-বাজার ও সড়কগুলোতে আজও ছিল মানুষের সরব উপস্থিতি। এর মধ্যে অধিকাংশ মানুষের মুখে দেখা যায়নি মাস্ক কিংবা মানতে সামাজিক দূরত্ব। আর লকডাউন বাস্তবায়নে জেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে কোথাও চোখে পড়েনি প্রশাসনের তেমন কোন তৎপরতা।
তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে বৃষ্টির প্রভাব কমে আসায় স্বাভাবিক সময়ের মতোই সব স্থানে বেড়েছে মানুষের উপস্থিতি।
সাধারণমানুষ বলেছেন জীবিকার তাগিদে বাধ্য হয়েই করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি মাথায় নিয়ে বের হতে হয়েছে তাদের।
এছাড়া লঞ্চ টার্মিনাল গুলোতে বন্ধ রয়েছে সব ধরনের লঞ্চ চলাচল। শুধু অ্যাম্বুলেন্স ও জরুরী পণ্য পরিবহনের জন্য শিমুলিয়া -বাংলাবাজার নৌরুটে সীমিত পরিসরে চলাচল করছে ফেরি। ফলে লঞ্চসহ অন্যান্য নৌযান চলাচল বন্ধ থাকায় ফেরিগুলোতে সকাল থেকেই ছিল মানুষের উপচে পড়া ভিড়।
(বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের উপ-মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) শফিকুল ইসলাম জানান, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী ঘাটের সকল নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে অ্যাম্বুলেন্স ও জরুরী সেবার যানবাহন সহ পণ্যবাহী যানবাহন পারাপারের জন্য সীমিত পরিসরে ফেরি সার্ভিস চালু রাখা হয়েছে।
বতর্মানে ঘাট এলাকায় পাড়াপাড়ের অপেক্ষায় রয়েছে ৪ শতাধিক পণ্য ও যাত্রীবাহী প্রাইভেটকার।
উল্লেখ্য - চলতি মাসে জেলায় নতুন করে আরো ১৬৯ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছে। করোনা আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৭১ জন।