শিরোনাম

South east bank ad

অর্থ সংকটে হালুয়াঘাটের জয়রামকুড়া হাসপাতাল

 প্রকাশ: ২০ জুন ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

এইচ. এম জোবায়ের হোসাইন:

সীমান্তবর্তী উপজেলা ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মাঝেও স্বাস্থ্য সেবা প্রদান অব্যাহত রেখেছে ঐতিহ্যবাহী স্বাস্থ্য সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান জয়রামকুড়া হাসপাতাল। যদিও ফান্ড সংকটে রয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। হাসপাতালটি বেসরকারি ভাবে স্বাস্থ্যসেবায় এগিয়ে থাকলেও অর্থনৈতিক অবস্থা পূর্বের তুলনায় অনেকটাই দুর্বল। হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতালটি পরিচালনায়।

এই হাসপাতালে ব্র্যাকের অর্থায়নে পরিচালিত ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি প্রোগ্রামটি যুক্তরাজ্য সরকারের অর্থিক সহায়তায় দীর্ঘ দিন যাবত চলে আসলেও করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটে এখন ব্র্যাককে আর সহযোগিতা করছে না যুক্তরাজ্য সরকার। ফলে তাদের সঙ্গে ব্র্যাকের ১০ বছর মেয়াদের ৪৫ কোটি পাউন্ডের আর্থিক সহায়তা প্রকল্প বন্ধ হয়ে গেছে । (সূত্রঃ ব্রিটিশ পত্রিকা দ্য গার্ডিয়ান)।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ সংকটময় অবস্থায় বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে নানা সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও রোগীদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। করেছে মাস্ক ক্যাম্পেইন ও জনসচেতনা মূলক কার্যক্রম। এখানে রোগীদের ইনডোর সেবা ছাড়াও আউটডোর সেবা অব্যাহত রয়েছে। জানা যায়, এ হাসপাতালে প্রতিবছর একদল জাপানি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার আসেন। তারা অনেক জটিল অপারেশন স্বল্প ব্যয়ে করে থাকেন। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে জাপানি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদল না আসায় তা আর হয়ে ওঠেনি। বর্তমানে কোন সমস্যা আছে কি না জানতে চাইলে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আক্ষেপ করে বলেন, এক সময় এই হাসপাতালে দাতা সংস্থা সমুহের সহায়তা অব্যাহত ছিলো। সময়ের পরিক্রমায় তা আজ আর নেই। এখন শুধু অভ্যন্তরীণ আয়ের মাধ্যমে হাসপাতালটি টিকে আছে। আমরা হাসপাতালটির জন্য সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালের নির্বাহী পরিচালক মি.তরুণ দারিং, কনসালটেন্ট ডা.লুসি দারিং এবং প্রতিষ্ঠানটির অর্থ ব্যবস্থাপক অংকুর ভৌমিক প্রমুখ। হাসপাতালের নির্বাহী পরিচালক মি.তরুণ দারিং এ প্রতিবেদককে জানান, বর্তমানে আমাদের হাসপাতালে ছয়জন ডাক্তার ও দুজন প্যারামেডিকেল নিয়মিত রোগী দেখছেন। তারপরও আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে রোগীদের সেবা প্রদান অব্যাহত রেখেছি।এখানে জিবিসি কর্তৃক পরিচালিত ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি নামীয় প্রতিষ্ঠান সরকারি নিয়ম মেনে খোলা হলেও করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে বর্তমানে তা বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও জিবিসি কর্তৃক পরিচালিত মাইক্রো ক্রেডিটের গ্রাহক সেবা অব্যাহত আছে সেই সাথে করোনা কালীন সরকারী প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী কিস্তি আদায় বন্ধ আছে।

হালুয়াঘাট তথা এ অঞ্চলের মানুষের প্রাণের দাবি, সকল প্রতিকূলতার মাঝেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মানুষের মাঝে যেভাবে সেবার দ্বার উন্মোচিত রেখেছেন তা যেন অব্যাহত থাকে।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: