তালাবদ্ধ ঘরে হাত-পা বাঁধা ব্যবসায়ীর মরদেহ, গ্রেফতার-৪
এইচ এম জোবায়ের হোসাইন:
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার গাংগাইল ইউনিয়নের অরণ্যপাশা গ্রামের মো. হাবিবুর রহমানের বাড়ির ভাড়াটিয়ার ঘর থেকে হাত-পা বাধা অবস্থায় কুটির শিল্প ব্যবসায়ী মোঃ জাহিদ মিয়া (২৮) এর লাশ উদ্বার করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৮ জুন) বিকালে নান্দাইল মডেল থানার থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সন্ধ্যায় লাশ উদ্বার করে ময়না তদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাশের ঘরের ভাড়াটিয়া সহযোগী ব্যবসায়ী হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার গাংগপুর গ্রামের ফেরিওয়ালা মিনাল, ভুপেন্দ্র চন্দ্র দাস, কামরুল হাসান ও পাহাড়পুর গ্রামের আখের মিয়া নামে চার জনকে আটক করা হয়েছে।
জানাগেছে, শুক্রবার জুম্মাহ নামাজের পর ফেরিওয়ালা মহাজন জাহিদ মিয়ার অন্যান্য সহযোগী ফেরিওয়ালা মিনাল, ভূপেন্দ চন্দ্র দাস, কামরুল হাসান ও আখের মিয়া গ্রাম থেকে ফেরি করে বাসায় এসে তাদের মহাজনকে ডাক দিলে কোন সাড়া না পাওয়ায় বাসার গ্রিলে তালা দেওয়া ও ঘরের দরজা বন্ধ দেখতে পায়। পরে বাড়ির মালিকসহ স্থানীয়রা লাঠি দিয়ে ঘরের দরজা ধাক্কা দিলে ব্যবসায়ী জাহিদকে হাত-পা বাধা অবস্থা ও তার মুখের উপর বালিশ পড়ে থাকতে দেখতে পায়।
স্থানীয়রা বিষয়টি থানা পুলিশ প্রশাসনকে অবহিত করলে নান্দাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মিজানুর রহমান আকন্দ, ময়মনসিংহ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) রায়হানুল ইসলাম, ডিবির এসআই শহীদজ্জামান সহ ক্রাইম স্কীন ইউনিটের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ দিকে জাহিদ মিয়ার বড় ভাই আসাদ তালুকদার জানান, তার ভাইয়ের ব্যবসার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে শত্রæতা ছিল। কয়েকবার তার ভাই জাহিদকে নিজ এলাকায় ব্যবসার করার জন্য বললে অবশেষে কয়েকদিন আগে জাহিদ বাড়ি ফিরে যাবে বলে তার বড় ভাই আসাদ তালুকদারকে জানায়। কিন্তু আমার ভাইকে বাড়ি নিতে পারিনি। আমি আমার ছোট ভাইয়ের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।
নান্দাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান আকন্দ লাশ উদ্বারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, লাশের ময়না তদন্ত রিপোর্ট আসলেই প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে এবং শীঘ্রই প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।