শত বছরের পুরনো রাস্তা বন্ধ করে অন্যের জমি দখল করে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ
নইন আবু নাঈম (বাগেরহাট):
শতবছরের পুরনো রাস্তা বন্ধ করে অন্যের জমির ওপর থেকে জোরপূর্বক রাস্তা নির্মাণে বাধা দেওয়ায় মূল মাকিলরাই এখন হয়রানির শিকার হচ্ছে। উল্টো নানাভাবে ভয়ভীতি ও মিথ্যা মামলা ফাঁসানোর হুমকি দেওয়া হচ্ছে জমির মালিকদের। তাদের হুমকিধমকিতে নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়েছেন আট জমিওয়ালা ও তাদের পরিবার। ঘটনাটি বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার ধানসাগর ইউনিয়নের উত্তর রাজাপুর (বাওড়) গ্রামের।
জোরপূর্বক রাস্তা নির্মাণকারী প্রতিপক্ষের শুনিল ঢালি, সুরেন হাওলাদার, সুখরঞ্জন হাওলাদার ও তাদের লোকজনের বিরুদ্ধে শুক্রবার দুপুরে শরণখোলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ করেছেন জমির মালিকরা।
সংবাদ সম্মেলনে জমির মালিকদরে মধ্যে রায়েন্দা সরকারি পাইলট হাই স্কুলে সহকারী প্রধান শিক্ষক অমলেন্দু হালদার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমাদের আট পরিবারের জমির সীমানার মাথায় একটি রেকর্ডীয় খাল রয়েছে। ওই খালের উত্তর পার থেকে শত বছরের পুরনো চলাচলের রাস্তা ছিলো। কিন্তু ২০১৭সালে খালটি পুনঃখনন করা হলে খালের দক্ষিণ পারে আমাদের প্রায় ছয় শ’ ফুট ফসলি জমির ওপর সেই মাটি স্তুপ করে রাখায় হয়। এর পর থেকে প্রতিপক্ষের শুনিল ঢালি, সুরেন হাওলাদার, সুখরঞ্জন হাওলাদাররা তাদের পারের পুরনো রাস্তাটি বন্ধ করে আমাদের জমির ওপর দিয়ে চলাচল শুরু করেন। সেই থেকে তারা সেটি সরকারি রাস্তা বলে অপপ্রচার চলায়। সম্প্রতি স্তুপ করা ওই মাটি অপসারণ করে জমির কিছু অংশ উদ্ধার করা হলে প্রতিপক্ষরা আমাদের বিরুদ্ধে নানা রকম ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অমলেন্দু হালদার আরো বলেন, জোরপূর্ব জমি দখর করে রাস্তা নির্মাণের বিষয়টি উপজেলা পরিষদের চেয়াম্যান রায়হান উদ্দিন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহিন, হিন্দু, বৈদ্য, খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি বাবুল দাসসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তারা সরেজমিন দেখে ওই জমি আমাদের মালিকা এবং সেখানে কোনোদিন সরকারি রাস্তা ছিল না বলে মতামত প্রকাশ করেন। পরিদর্শকারীরা পুরনো রাস্তা খুলে সেখান থেকে চলাচলের জন্য তাদের নির্দেশনা দেন। কিন্তু তারা সকল নিয়মনীতি অমান্য করে আমাদের জমি দখল করার অপচেষ্টা এবং হুমকিধমকি অব্যাহত রেখেছে। বিষয়টি শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
এব্যাপারে শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সরদার মোস্তফা শাহিন বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উল্লেখিত স্থানে সরকারি রাস্তার প্রমান পাওয়া যায়নি। উভয় পক্ষকে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে বলা হয়েছে। বিষয়টি দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করা হবে।