চীন আমাদের ৯৭ শতাংশ পণ্য রপ্তানিতে ডিউটি ও কোটা ফ্রি বাণিজ্য সুবিধা দিচ্ছে : বাণিজ্যমন্ত্রী
বুধবার (৯ জুন) ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) এবং বাংলাদেশ চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিসিসিসিআই) যৌথভাবে আয়োজিত ‘বাংলাদেশ-চায়না ইকোনমিক অ্যান্ড ট্রেড রিলেশনস ইন দ্য আফটারমান্থ অব দ্য কোভিড-১৯ গ্লোবাল প্যান্ডেমিক’ শীর্ষক ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, চীন আমাদের ৯৭ শতাংশ পণ্য রপ্তানিতে ডিউটি ও কোটা ফ্রি বাণিজ্য সুবিধা দিচ্ছে। বাংলাদেশের বৃহৎ ব্যবসায়িক অংশীদার চীন। ২০১৬ সালে চীনের প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফর এবং ২০১৯ সালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরের মাধ্যমে উভয় দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হয়েছে। এসময় চীন বাংলাদেশ ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট (এফটিএ) স্বাক্ষরের বিষয়ে জয়েন্টলি সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য এমওইউ স্বাক্ষরিত হয়েছে। ইতোমধ্যে উভয় দেশের বাণিজ্য সহযোগিতা বাড়ানো হয়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, চীন ৯৭ শতাংশ পণ্য রপ্তানিতে ডিউটি ও কোটা ফ্রি বাণিজ্য সুবিধা দিচ্ছে বাংলাদেশকে। ২০২০ সালের জুলাই মাস থেকে তা কার্যকর হয়েছে। উভয় দেশের বাণিজ্য ব্যবধান কমানোর প্রচেষ্টা চলছে। বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সহযোগী চীন। বাংলাদেশের বৃহৎ উন্নয়ন সহযোগী। পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প, ঢাকায় মেট্রোরেল প্রকল্প, বঙ্গবন্ধু কর্ণফুলী টানেল প্রকল্প, ঢাকা-চট্টগ্রাম চারলেন প্রকল্পসহ অনেক মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে চীন সহযোগিতা করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের গতবছরের বাণিজ্য ছিল ১২ দশমিক ০৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের। এসময় বাংলাদেশ রপ্তানি করেছে ০.৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য, একই সময়ে আমদানি করেছে ১১ দশমিক ৪৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। চীনের দেওয়া বাণিজ্য সুবিধা কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ বাণিজ্য ব্যবধান কমানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। তাছাড়া, বাংলাদেশ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তি করে এলডিসি গ্রাজুয়েশনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিআইডিএ) নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম এবং চীনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহবুব উজ জামান বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে পলিসি রিসার্স ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (পিআরআই) রিসার্স ডিরেক্টর ড. আব্দুল রাজ্জাক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। ইআরএফের সভাপতি শারমিন রিনভী ও বিসিসিআইর যুগ্ম মহাসচিব আল মামুন মৃধা অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
বিসিসিসিআইয়ের সভাপতি গাজী গোলাম মুর্তোজার সভাপতিত্ব অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ইআরএফের সাধারণ সম্পাদক এসএম রশিদুল ইসলাম।
বিসিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহ মো. সুলতান উদ্দিন ইকবাল ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।