শিরোনাম

South east bank ad

ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের প্রবেশে দুটি সড়কেই গর্ত আর খানা খন্দক, বিপদে সেবা প্রত্যাশীরা

 প্রকাশ: ০৯ জুন ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

মোঃ রাজু খান (ঝালকাঠি):

ঝালকাঠি জেলার সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠান ১শ শয্যা বিশিষ্ট ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল। হাসপাতালটিতে প্রবেশে পূর্ব ও পশ্চিম দিকে দুটি পৃথক গেট ও সড়ক রয়েছে। পূর্ব গেট দিয়ে প্রবেশে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রেও একমাত্র যাতায়াতের পথ। উভয় দিকের সড়কেই খানা-খন্দক রয়েছে অসংখ্য। বৃষ্টি হলেই পানি জমে সড়কটি ডুবে যায়। যার ফলে কোন জায়গা খানা-খন্দক আর কোন জায়গায় গর্ত কিছুই বুঝা যাচ্ছে। রিক্সা, অটো বাইক, মটোরসাইকেল, পথচারী কারোর জন্যই চলাচলের সুগম না। যে যেভাবেই যাতায়াত করুক না কেন তাকে অতি ঝুকি নিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে। এমনটাই জানালেন মঙ্গলবারে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে যাওয়া জনসাধারন। জানাগেছে, ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল চত্ত্বরে আড়াই শ’ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল ভবনের নির্মাণ কাজ চলছে। ভবনের জন্য মালামাল সরবরাহ করার ভারী গাড়ির কারণে রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গণপূর্ত অধিদপ্তর সেদিকে কোন ভ্রুক্ষেপ না করেই পুরাতন হাসপাতালের ওয়াল ও ফ্লোরে টাইল্স ব্যবহার করে সুসজ্জিত করার কাজ করছে। এ প্রকল্পগুলো লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করলেও জনসাধারনের চলচলের রাস্তাটি সংস্কারে কোন উদ্যোগ নেই। জনস্বার্থের দিকে তোয়াক্কা না করে অজ্ঞাত কারণে ঠিকাদারদের স্বার্থের দিকেই তাকাচ্ছে সংশ্লিষ্ট গণপূর্ত বিভাগ। এ উন্নয়ন রোগীদের কোন ধরনের সেবা বা পরিসেবার ক্ষেত্রে কোন কাজে লাগছে না, শুধু অর্থ অপচয় ছাড়া। এমনটাই অভিযোগ স্থানীয়, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সেবাগ্রহিতাদের। মঙ্গলবার সকাল ১১টায় ঝালকাঠি সদর উপজেলার বেতলস গ্রামের বারেক হাওলাদারের অসুস্থ্য স্ত্রী রাজিয়া বেগম(৫৮) কাঁদা-পানির সড়ক দিয়ে চিকিৎসা সেবা নিতে প্রবেশের সময় হোচট খেয়ে গুরুতর আহত হয়। রাজিয়া বেগম জানান, ইজিবাইকে করে সদর হাসপাতালে ঢুকতেছিলাম চিকিৎসা সেবার জন্য। ১০কিলোমিটার দূর থেকে এসে বিপদে পড়েছি ৫০গজ জায়গায়। পূর্ব গেট পার হয়ে ঢুকতেই অটোবাইক হেলে পড়লে আমি ছিটকে পড়ে যাই। হাটুতে এবং কনুতে প্রচন্ড আঘাত লাগে। পোনাবালিয়া ইউনিয়নের দেউরী গ্রামের শিউলী বেগম জানান, ঝালকাঠি মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে ঢুকতেছিলাম মাতৃত্বকালীন চিকিৎসা নেয়ার জন্য। গেট দিয়ে ঢুকতেই বিশাল গর্ত। আমাদের গ্রামের বাড়ির পুকুরের মতোই গর্তটি। যাবার কোন পথ না পেয়ে বাহিরে ডাক্তার দেখিয়ে বাড়িতে যাই। এ ব্যাপারে ঝালকাঠি সিভিল সার্জন ডাঃ রতন কুমার ঢালী বলেন, গণপূর্ত বিভাগকে সংক্ষিপ্ত এই সড়কটুকু সংস্কার করার জন্য বারবার লিখিত ও মৌখিকভাবে জানানো সত্বেও কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না। তারা শুধু হাসপাতালেল টাইলস বসিয়ে চলছে। গণপূর্ত অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী সমীর দাস জানান, হাসপাতালের সামনেই ২৫০শয্যা বিশিষ্ট ৯তলা ভবনের কাজ নির্মাণাধীন। মালামাল পরিবহনে রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সিভিল সার্জন মহোদয় রাস্তার দুর্ভোগের বিষয়ে ফোন দিয়ে জানিয়েছেন। জরুরী সংস্কার খাতে পূর্ব পাশের রাস্তাটি রোগীদের স্বাভাবিক যাতায়াতের জন্য সংস্কার করা হবে। অতিদ্রুতই এ কাজ শুরু করা হবে। পশ্চিম পাশের প্রবেশ সড়কটি দিয়ে মালামাল বহন করা হবে।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: